দেশনিউজ

বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন বিতরণ করলেন সিআরপিএফ জওয়ান, লকডাউনে উপকৃত আসামবাসী

Advertisement
Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – গোটা বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাসের থাবা মানবজাতিকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দিয়েছে একথা অনস্বীকার্য। ভারতবর্ষেও এর প্রভাব পড়েছে। কলকারখানা বন্ধ, ছোট খাটো ব্যবসা বাণিজ্য সবকিছুই বন্ধ। যার ফলে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের জীবনে নেমে এসেছে অন্ধকার। কিন্তু করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে গেলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই হবে। আর যার জন্য লকডাউন মেনে নিতে হবে প্রত্যেককে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে এই সমস্ত দিনমজুরদের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেকে হাত বাড়িয়েছেন এই সমস্ত দুর্গত মানুষের পাশে।

Advertisement
Advertisement

সিআরপিএফ জওয়ান পদ্মেশ্বর দাস, তার সমস্ত জমানো টাকায় গরীবদের মধ্যে বিতরণ করছেন রেশন। লকডাউন এর ফলে গরীবরা কেমন করে একটু খাবারের জন্য লড়াই করছে, তা দেখেই তিনি মনস্থির করেন তিনি নিজেই তাদেরকে সাহায্য করবেন। এই ব্যাপারে তার মা এবং তার স্ত্রী তাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ, তৎক্ষণাৎ তিনি বাজারে গিয়ে প্রায় ৮০ কেজি চাল নিয়ে আসেন। পরের দিনই তার পরিবার এক একটি প্যাকেটের মধ্যে দু কেজি চাল ১ কেজি আলু এবং একটি ছোট বোতলে সরষের তেল এক প্যাকেট পেঁয়াজ এবং হাফ কিলো ডাল দিয়ে প্রায় ৫০ টি প্যাকেট তৈরি করলেন। এখনো পর্যন্ত প্রায় ৮০০০ থেকে ১০০০০টাকা খরচ করেছেন তিনি। এই নিয়ে তার বস নীরাজ পান্ডে তাকে নিয়ে যথেষ্ট গর্বিত।

Advertisement

একদিকে লকডাউন না মানলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মরতে হবে, আর অন্যদিকে লকডাউন এ কাজ হারিয়েছেন অনেকে। তবে সরকারি-বেসরকারি এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেকেই এগিয়ে এসেছেন এই গরীব দুর্গতদের পাশে। যার জন্য প্রত্যেককেই স্যালুট জানাতে হয়। অভিনেতা, অভিনেত্রী খেলোয়াড়, শিল্পপতি থেকে শুরু করে অনেক সাধারন মানুষ তাদের জমানো টাকা পয়সা গরিবদের জন্য তুলে ধরছেন। সবাই পাশে এইভাবে না থাকলে করোনা দমন কিছুতেই সম্ভব নয়।

Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button