আরও শক্তিবৃদ্ধি করে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী বুধবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। মঙ্গলবার থেকে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানাচ্ছেন, “শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে আমফান। সেখান থেকে তার গতিমুখ ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের দিকে। আগামী ২০ই মে ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভূমিতে প্রবেশ করতে পারে। এর প্রভাবেই মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।”
আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, মঙ্গলবার উপকূলীয় এলাকা গুলিতে ঘন্টায় ৬০-৬৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। বুধবারে ঝড়ের গতিবেগ আরও বাড়বে বলে জানানো হয়েছে, বুধবারে ঘন্টায় ৯৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের দিঘা, মন্দারমনির কাছে ঝড় আছড়ে পড়তে পারে। তবে আবহাওয়াবিদদের মতে পশ্চিমবঙ্গে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আশঙ্কা ৭০ শতাংশ ও ৩০ শতাংশ আশঙ্কা ওড়িশায়। সতর্কতা পেয়েই বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনাও করেছেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “বিপর্যয় মোকাবিলা কেন্দ্র এবং ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলিকে এই বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।” রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাও এই নিয়ে বৈঠক করেন বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সাথে।