প্রীতম দাস : বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বুলবুল অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, এটি ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ হয়ে বাংলাদেশের কেপুপারা অভিমুখে যাত্রা করবে।
ওড়িশার বিশেষ করে কেন্দ্রপাড়া ও জগৎসিংহপুর জেলাগুলিতে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয় গিয়েছে। আইএমডি এর সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে, ওড়িশা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় এর আঘাত হানার সম্ভাবনা তীব্রতর।
এর মধ্যে ১৫টি জেলাকে বিশেষ সতর্ক করা হয়েছে , জেলাগুলি যথাক্রমে :- বালাসোর , ভদ্রক , কেন্দ্রপারা , গঞ্জাম , জগৎসিংপুর , গাজপতি , পুরী , মালকানগিরি , কোড়াপুট , রায়গাদা , নবরঙ্গোপুর , কলহান্ডি , কাধামাল , বৌদ্ধ ও নুপাডা। এই জেলার কৃষকদের বৃষ্টি শুরুর আগেই পাকা ফসল তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ৭ই নভেম্বর থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ৮ই নভেম্বর থেকে উপকূলীয় জেলাগুলিতে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এবং এর সাথে ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে। বাতাসের সর্বোচ্চ বেগ ৭০ কিমি পর্যন্ত হতে পারে।
আইএমডি জানিয়েছে , পূর্ব – মধ্য এবং পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ – পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও উত্তর আন্দামান সাগরের উত্তর পশ্চিম দিকে ঘণ্টায় ৯ কিমি বেগে নিম্নচাপটি অগ্রসর হচ্ছিল এবং পারাদ্বীপের ৮১০ কিমি দক্ষিণ পশ্চিমে এর কেন্দ্র ছিল।
এটি আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে গভীর নিম্নচাপ ও এর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবার সম্ভাবনা আছে। ওড়িশা উপকূলে মে মাসে ঘূর্ণিঝড় ফনি আছরে পড়ার পাঁচ মাস পরেই আবার সম্ভাবনাম়ী ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আছরে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা আছে।