ধেয়ে আসছে আরো এক ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’। শনিবার সকালে এই শক্তিশালো ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ অথবা ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। এরাজ্যে আছড়ে না পড়লেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মূলত দক্ষিণবঙ্গের কছু জেলারে জেলাগুলিতেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। আরো এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই সতর্কতামূলক একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছেন রাজ্য সরকার। সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি জেলায় ইতিমধ্যেই এনডিআরএফ-এর দলও মোতায়েন করা হয়েছে।
দক্ষিণ থাইল্যান্ডের এই ঘূর্ণাবর্ত ঝড় দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি আজকের দিনে শক্তি বাড়িয়ে সপ্তাহের শেষে শনিবার সকালে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ অথবা ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। আর এই কারণে সমুদ্রের ঝড়ের তান্ডবের কথা ভেবে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। হাওয়ার গতিবেশ থাকতে পারে ঘন্টায় ৬৫ থেকে ৮০ কিলোমিটার।
আজকে সকাল থেকে আকাশ ঝলমলে আছে। তিলোত্তমার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। ভোরর দিকে আবছা এবং রাতের দিকে মূলত মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিনগুলি বঙ্গবাসীর কাছে বেশ দুর্যোগপূর্ণ কাটবে।
এই ঘূর্ণবাতের জেরে শুক্রবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, শনিবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া এবং ঝাড়গ্রামে বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। আর রবিবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, ঝাড়গ্রাম এবং হাওড়া থেকে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি এবং সেইসঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারার সম্ভাবনা আছে।