বুধবার আছড়ে পড়লো ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ। যার জেরে উপড়ে পড়লো বেশ কয়েকটি গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি। তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় আলিবাগের নিকটবর্তী মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলার সমতল অংশের বাড়িগুলি বিদ্যুৎ হীন হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৮৫ টি বড় গাছ উপড়ে পড়েছে। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি গাছ স্থানীয় এলাকার ঘরগুলির উপরে পড়েছে। ১১ টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে তার ছিঁড়ে পড়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) জানিয়েছে যে, বাতাসের তীব্রতা কমলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে এলাকায় নামবে এনডিআরএফ-এর দল।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পরিদর্শক মহেশ কুমার বলেন, আলিবাগ এবং মুরুদের মধ্যবর্তী এনডিআরএফ ক্যাম্পের উপর দিয়ে সাইক্লোনটি যাওয়ার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার রেকর্ড করা হয়েছিল। একইসঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন যে, ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বেলা দুপুর ২ টার দিকে বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৮৫-৯০ কিমিতে নেমে আসে।
ঘূর্ণিঝড়ের উপরের অংশটি আলিবাগ পেরিয়ে মুম্বাইয়ের প্যানভেলের দিকে ৭৫ কিমি বেগে এগিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) মহারাষ্ট্রের সাতটি উপকূলীয় জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে। মহারাষ্ট্র ও গুজরাত দুই রাজ্যে ভারী থেকে খুব ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। সমুদ্রের উপর থাকাকালীন ঘূর্ণিঝড়টির গতিবেগ প্রায় ৫০০ কিলোমিটারের আশেপাশে ছিল। উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার ছিল।