নয়াদিল্লি: আমফান, নিসর্গের স্মৃতি এখনও টাটকা। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ভোররাতে তামিলনাড়ু, পুদুচেরি উপকূলে সাইক্লোন ‘নিভার’ আছড়ে পড়েছে। এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সময় হাওয়ার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪৫ কিমি। বেশ কয়েক দিন ধরে যত সময় পেরিয়েছে, ততই শক্তি বাড়াচ্ছিল এই ঘূর্ণিঝড়ের। অবশেষে পুদুচেরি, তামিলনাড়ুর উপকূলে প্রবল শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়ে নিভার।
জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুর মারাক্কানাম এবং পুদুচেরির মধ্যবর্তী অঞ্চলে বুধবার রাত এগারোটা নাগাদ ল্যান্ডফল শুরু করে নিভার ল্যান্ডফলের আগে থেকেই চেন্নাই সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়ম ল্যান্ডফল শুরু হওয়ার আগে সফলভাবে উপকূলবর্তী অঞ্চলে থেকে ১.৪৬ লক্ষ্য মানুষদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা সম্ভব
বলে জানায় তামিলনাড়ু সরকার। তাদেরকে চেন্নাইয়ের নাগাপট্টিনাম ও কাড্ডালোর জেলায় স্থানান্তর করা হয়।
পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আগে থেকেই উপকূলবর্তী অঞ্চলে রণতরী আইএনএস জ্যোতিকে রাখা হয়েছিল। যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার সংগ্রহ করে রাখা ছিল বলে জানা গিয়েছে। যাতে উদ্ধারকার্যে কোনও সমস্যা না হয়। তার জন্যই তামিলনাড়ু সরকার এমনটা ভেবেছিল। এখনও পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার ঘটনায় কোনওরকম প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। তবে বেশ কিছু বড় বড় গাছপালা এবং বিদ্যুতের খুঁটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তামিলনাড়ু এবং পুরীর উপকূলবর্তী অঞ্চলে বড় বড় গাছ উপড়ে পড়ে গিয়েছে।এমনকি বিদ্যুতের ঘাটতি উপরে পড়ে গিয়েছে বলে খবর। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং পুলিশের তরফ থেকে ইতিমধ্যে উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগের চেষ্টা চলছে বলে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই গোটা তামিলনাড়ু জুড়ে ৮০টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। নিভারের পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক হতে পারে বুঝে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে তামিলনাড়ু সরকার।
এই ঘূর্ণিঝড়ের আগেই বুধবার রাত ন’টা থেকে পুদুচেরিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। বাতিল করে দেয়া হয়েছিল বেশ কিছু বিমান এবং ট্রেন সব মিলিয়ে আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছিল বলেই ভালরকমভাবে সামাল দেওয়া গিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়কে, এমনটাই দাবি করেছে তামিলনাড়ু প্রশাসন।