আমফানের এখনো রেশ কাটেনি আর তার এক বছর হতে না হতেই পশ্চিমবঙ্গের দিকে আসতে চলেছে নতুন ঘূর্ণিঝড় যার নাম দেওয়া হয়েছে যশ। এই ঘূর্ণিঝড় আগামী সপ্তাহ নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে। রবিবার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হবে যা পরবর্তীতে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তারপর বুধবার নাগাদ বাংলা উড়িষ্যা উপকূলে এই নিম্নচাপ আছড়ে পড়তে চলেছে বলে খবর। তার জেরে জারি করে দেওয়া হয়েছে রেড অ্যালার্ট।
উত্তর আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এর উপর তৈরি হয়েছে একটি গভীর নিম্নচাপ। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগর এর উপরে আগামী শনিবার পর্যন্ত এই নিম্নচাপ অবস্থান করবে। তারপর শক্তি বৃদ্ধি করে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে শুরু করবে যশ ঘূর্ণিঝড়।
আগামী রবিবার থেকে শক্তি বৃদ্ধি করে এগোতে শুরু করবে এই ঘূর্ণিঝড়। বাংলা উড়িষ্যা উপকূলে ২৬ তারিখে আছড়ে পড়তে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়। পাশাপাশি মেদিনীপুর এবং সুন্দরবনের উপরে এই ঝড়ের ভালোমতো প্রভাব পড়তে চলেছে। আগামী রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রের যাওয়া একেবারে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আগামী সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত সমুদ্রের ঢেউ এর পরিমাণ অনেকটা বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। দীঘার সমুদ্রে আছরে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ের। সমুদ্রে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট অনেকটা বেশি থাকবে। আগামী রবিবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন করতে চলেছে। কলকাতা থেকে এই ঘূর্ণিঝড়ের কিছুটা প্রভাব পড়বে। কলকাতাতে কিছুটা বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এই ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে মোটামুটি ৬৫ কিলোমিটার।
উপকূলীয় জেলায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে ঝড়ো হাওয়া দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বাধিক গতিবেগ ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত থাকতে পারে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে জেলাগুলিতে, উড়িষ্যায় এবং বাংলাদেশে এই ঝড়ের প্রভাব পড়বে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই ঝড়ো হাওয়ার দাপট থাকতে পারে।