গোটা দেশজুড়ে করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ নাজেহাল করে তুলেছে ভারতবাসীকে। দেশের পাশাপাশি বেহাল দশা রাজ্যের। সংক্রমণের গগনচুম্বী গ্রাফ উদ্বেগে ফেলছিল প্রত্যেক রাজ্যবাসীকে। তাই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগেই চলতি মাসের ৩০ তারিখ অব্দি বিভিন্ন বিধি নিষেধ জারি করেছিলেন। আজ আবারও মুখ্যমন্ত্রী নবান্নের এক সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত থেকে ঘোষণা করেছেন যে রাজ্যে আগামী ১৫ জুন অব্দি কার্যত লকডাউন বা সমস্ত বিধি-নিষেধ জারি থাকবে। তবে আবারও রাজ্যে কার্যত লকডাউন বাড়ালে কি কোনো লাভ হবে? সেই প্রশ্নে উত্তাল বঙ্গবাসী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নের বৈঠকে বসে জানিয়েছেন, “দয়া করে একে লকডাউনের নাম দেবেন না। আমরা বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করছি। বাজার, মিষ্টির দোকান, শাড়ি, গয়নার দোকান যে নিয়মে খুলছিল তাই হবে। অতিমারী পরিস্থিতিতে বাধা-নিষেধ জারি করে কোভিড কিছুটা হলেও কমেছে। সাধারণ মানুষ আমাদের সহযোগিতা করছেন। তাই আমরা আরেকটু সময় চেয়ে নিচ্ছি। এর জন্য ক্ষমা চেয়ে নেব। তবে অর্থনীতি সচল রাখতে নির্দিষ্ট সীমায় সব চালু রয়েছে।”
পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ৪৬ জন যা গতকালের তুলনায় অনেক কম। এছাড়া দৈনিক মৃত্যুর পরিসংখ্যান নিম্নমুখী হয়েছে। ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মাত্র ১৪৮ জনের। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯০.০৭ শতাংশ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৯৭৫ জন। কলকাতা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪৮৯। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৪ মে রাজ্যে যখন কার্যত লকডাউন শুরু হয়েছিল তখন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ৮৪৬ জন। সেই অনুযায়ী বলা যেতে পারে রাজ্যে বিধিনিষেধের ফলে এক ধাক্কায় ৭ হাজারের কাছাকাছি দৈনিক সংক্রমণ হ্রাস পেয়েছে। আগামী ১৫ জুন অব্দি লকডাউন থাকলে এই দৈনিক সংক্রমণ আরও কমবে বলে আশা করছে ওয়াকিবহাল মহল।