আমাদের মুখ তখনই স্বচ্ছ থাকে যখন কোনো ধরনের অবাঞ্চিত দাগ, ছোপ থাকে না। কিন্তু আজকের দিনে দূষণের, খাওয়ার অনিয়মের ও অতিরিক্ত কসমেটিক মেকআপের ব্যাবহারের জন্যে এমন উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া খুব কঠিন। এই সকল কারণে ত্বকের ক্ষতি হয় এবং তার ফলে ব্রন বা পিম্পেল হতে শুরু করে মুখে। এই সব কোনো প্রকারে দূর হলেও ত্বকের ভেতর থেকে বসে যাওয়া এদের দাগ দূর করা দুষ্কর হয়ে যায়। তাই আজ কি করে এই দাগ থেকে নিস্তার পেতে পারেন তাই বলতে এই বিজ্ঞাপন।
অনেকেই এই দাগ থেকে বাঁচতে কসমেটিকসের সাহায্য নেন। কিন্তু এর ফলে দাগ দুর হলেও ত্বকের অনেক ক্ষতি হয় ফলে কিছু দিনেই আবার ব্রন দাগ সহ ফিরে আসে। তাই এর থেকে মুক্তি পেতে প্রাকৃতিক জিনিসের ব্যাবহার করে মঙ্গলময়।
আসুন জেনে নিন কি কি উপকরনের সাহায্যে এই দাগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন আপনি:-
১) হলুদ:-
কয়েক শতাব্দী ধরে ত্বকের যত্নে হলুদ ব্যবহার হয়ে আসছে। দাগ হালকা করতে এটি ফেসপ্যাক হিসেবে লাগান অনেকে। একটি পাত্রে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো এবং এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস যোগ করুন। এবার এই পেস্টটি আঙ্গুল দিয়ে মুখের দাগে লাগান এবং প্রায় 10 মিনিট রাখার পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। মনে রাখবেন হলুদ বেশিক্ষণ রাখবেন না, তা না হলে মুখ ফ্যাকাশে দেখাতে পারে।
২) টমেটো:-
এই ফলে লাইকোপেন সমৃদ্ধ থাকে। এইটি প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসেবে কাজ করে। একটি টমেটো নিয়ে এর রস বের করে মুখে লাগান। আপনি চাইলে টমেটোর রসের সাথে সমপরিমাণে লেবুর রস মিশিয়েও লাগাতে পারেন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার লাগালে দাগ কমতে শুরু করবে।
৩) বেসন:- বেসন ও চন্দনের গুঁড়া সমপরিমাণে নিয়ে তাতে মধু ও দুধের স্বর মিশিয়ে নিন। এই ফেসপ্যাকটি ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। আপনার মুখ উজ্জ্বল হবে। এটি ত্বকের মরা কোষের পাশাপাশি দাগ দূর করে এবং প্রদূষণ জন্যে ত্বকে জমা নোংড়াও দূর করে।
৪) বাটারমিল্ক বা ঘোল :- ঘোল যেমন পেটের সমস্যা দূর করে, তেমনি মুখেও ব্যবহার করতে পারেন। আলাদাভাবে কিছু না মিশিয়ে সরাসরি মুখে ঘোল লাগাতে হবে এবং ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। ত্বক দাগ মুক্ত করার জন্য এটি একটি ভালো ঘরোয়া পদ্ধতি।
৫) মধু:-
মধুর সঙ্গে চন্দন বাত মিশিয়ে আপনার মুখের দাগে প্রয়োগ করুন। ১০ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ২-৩ বার এইটি ব্যাবহার করলে আপনার দাগ দুর হয়ে বাধ্য।
এই তথ্যের যথার্থতা, সময়োপযোগীতা এবং সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা হয়েছে। তবে এটা ভারত বার্তার নৈতিক দায়িত্ব নয়। দয়া করে কোনো প্রতিকার চেষ্টা করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার জন্য অনুরোধ করছি আমরা। আমাদের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র আপনাকে তথ্য প্রদান করা।