গুজরাট সরকার সম্প্রতি রাজ্যের প্রায় ৯ লাখ কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) এবং ডিয়ারনেস রিলিফ (ডিআর) বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মূল বেতনের ওপর ৩ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা আগের ৫০ শতাংশ থেকে বেড়ে এখন ৫৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সরকার জানিয়েছে, এই বৃদ্ধি ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে এবং জুলাই থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত বকেয়া ডিএ জানুয়ারি মাসের বেতনের সঙ্গে কর্মীদের অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর মূল উদ্দেশ্য হল মূল্যস্ফীতির প্রভাব সামাল দেওয়া এবং কর্মচারীদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা। উল্লেখ্য, মহার্ঘ ভাতা মূলত অল-ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইজ ইনডেক্সের (AICPI) ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়। গুজরাট সরকার সপ্তম বেতন কমিশনের ফর্মুলা অনুযায়ী এই বৃদ্ধি করেছে। ফর্মুলাটি হলো:
{গত ১২ মাসের AICPI গড় (ভিত্তি বছর – ২০০১=১০০) – ১১৫.৭৬}/১১৫.৭৬ X ১০০
এই ডিএ বৃদ্ধির ফলে কর্মচারীরা বর্ধিত ট্র্যাভেল অ্যালাওয়েন্স, বাড়ি ভাড়া ভাতা (এইচআরএ), এবং অন্যান্য সুবিধাও পেতে পারেন, যা তাঁদের আর্থিক নিরাপত্তা বাড়াতে সহায়ক হবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই তার কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা ৩ শতাংশ বাড়িয়ে ৫৩ শতাংশ করেছে। এই ঘোষণার পর বিভিন্ন রাজ্য সরকারও কেন্দ্রের পথে হাঁটছে। গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্ত উৎসবের আগে কর্মীদের জন্য একটি বড়সড় আর্থিক স্বস্তি বয়ে এনেছে।
সরকারি কর্মচারীদের একাংশের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে, নতুন বেতন কমিশন কবে গঠিত হবে। কর্মচারী ইউনিয়নগুলির দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে এই বিষয়ে সুরাহা হওয়া উচিত। তবে, নভেম্বরে নির্ধারিত বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ডিসেম্বরে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গুজরাট সরকারের এই ডিএ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত রাজ্যের কর্মচারীদের মধ্যে উৎসাহ তৈরি করেছে। এর পাশাপাশি নতুন বেতন কমিশনের ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছেন কর্মচারীরা। সরকারের এই পদক্ষেপ কর্মচারীদের আর্থিক সুরক্ষা আরও সুদৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।