করোনায় প্রতিদিন নতুন নতুন গবেষণামূলক তথ্য উঠে আসছে যার জেরে চিন্তায় পড়ছে তামাম বিশ্ববাসি। এসবের মধ্যে সম্প্রতি ভিয়েনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় ধরা পড়েছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কোভিড রোগীদের ক্ষেত্রে বাড়ছে ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস অথবা ভেনাস থ্রম্বো এম্বলিজম এর সম্ভাবনা। জানা গিয়েছে করোনা সংক্রমণ হার্টেরও অনেক ক্ষতি করছে এছাড়াও যাঁদের ক্ষেত্রে মৃদু সংক্রমণ হচ্ছে, তাঁদের হার্টেও স্থায়ী ক্ষতি হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দেহের ভেতরের ধমনীতে রক্ত জমাট বেঁধে গেলে সেই গুরুত্বর অবস্থাকে বলে ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস। এই জমাট বাঁধা রক্ত ঢুকে পড়ে ফুসফুসে। দেখা গিয়েছে হাসপাতালের জেনারেল ওয়ার্ডে থাকা রোগীদের ভিটিই-র ঝুঁকি ৫ থেকে ১১ শতাংশ।
অন্য দিকে গুরুতর অসুস্থ থাকা হাসপাতালের বাকি কোভিড রোগীদের ক্ষেত্রে সেই ঝুঁকি ১৮ থেকে ২৮ শতাংশ। কিন্তু এসব বাতলে বিজ্ঞানীরা জানালেন একবার রোগ হলেই যে তা শরীরে করোনার রোধী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে দেবে তেমনটা কিন্তু নয় সারাজীবনের জন্য ইমিউনিটি তৈরি হওয়া সম্ভব নয়। করোনার মাঝেই প্রতিদিনই এক একটা নতুন গবেষণা প্রকাশ্যে আসছে।
১৯৮০ সাল থেকে ৫১৩ জন সুস্থ মানুষের শরীরের লালা পরীক্ষা করে মিলেছে তাঁদের শরীরে করোনা ভাইরাস গোত্রের একাধিক স্পাইক প্রোটিন রয়েছে। জানানো হয়েছে যাঁদের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে, তাঁদের সর্বোচ্চ ছ’মাস বাদেও উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। তারপর আবার ১ বছর বাদে ফের ফিরে আসছে উপসর্গ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে ভিটিই-তে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ১৪ শতাংশ।