এখন AC-কে বিদায় বলু, আর্দ্রতা শেষ করবে এই ছোট্ট ডিভাইসটি, মাত্র ৬ হাজার টাকায়
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে গরমের তীব্রতা আগের থেকে বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। আর এক্ষেত্রে সেই গরম থেকে বাঁচার অন্যতম বিকল্প এসি বা কুলার। আর বর্ষা প্রবেশের পরপরই আর্দ্রতার পরিমাণও বাড়তে থাকে। এসি ও কুলার ব্যবহারে সেই আদ্রতা বেড়ে যায় আরো। তবে এই নিবন্ধের সূত্র ধরে কম খরচায় এমন একটি মেশিনের সন্ধান দেওয়া হবে, যা আদ্রতা দূর করে শীতলতা এনে দেয়। উল্লেখ্য, সমস্ত স্তরের মানুষের কথা ভেবেই এই নিবন্ধ লেখা হচ্ছে। কারণ গরম দূর করতে সবার পক্ষে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে এসি কেনা সম্ভব নয়।
ডিহিউমিডিফায়ার:
এই নিবন্ধের সূত্র ধরে পোর্টেবল ডিহিউমিডিফায়ারারের কথা বলা হচ্ছে। এর প্রধান কাজ আদ্রতা শোষণ করে শীতলতা ছড়িয়ে দেওয়া। এটি ছোট এমন একটি ডিভাইস, যা বাড়ি কিংবা ঘরের যেকোন জায়গায় রাখলেই সমস্ত আদ্রতা শোষণ করে নেয় নিমেষে। জল পিউরিফায়ার মেশিনের মতই এটি অনেকটা কাজ করে। উল্লেখ্য, এই পোর্টেবল ডিহিউমিডিফায়ারার একটি ছোট ট্যাঙ্ক নিয়েই গঠিত হয়েছে। এটি ঘর কিংবা বাড়ির সমস্ত আদ্রতাকে শোষণ করে নিতে ও ট্যাঙ্কে জল জমা করে রাখতে সহায়তা করে থাকে।
খরচ:
এটি একেবারেই ব্যয়বহুল নয়। এই ছোট্ট মেশিনটি ঘর কিংবা বাড়ির সমস্ত আদ্রতা শোষণ করে নেওয়ার পর কুলার ও পাখার সাহায্যে শীতলতা ছড়াবে কোনায় কোনায়। একটি প্রমাণ সাইজের এসি কিনতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। বিস্তারিত বলতে গেলে ১.৫ টন এসির দাম ৩০ হাজার টাকা। তবে এই ছোট্ট পোর্টেবল ডিহিউমিডিফায়ার কিনতে খরচ হবে মাত্র ৬০০০ টাকা। এক্ষেত্রে সাধারণ মধ্যবিত্তর কাছে এসির তুলনায় গুরুত্ব পাবে এই ছোট্ট মেশিনটিই।
তবে এক্ষেত্রে একটি কথা মাথায় রাখতে হবে। বিভিন্ন মাপের ও বিভিন্ন দামের ডিহিউমিডিফায়ার পাওয়া যায় অনলাইনে ও খোলা বাজারে। আর সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে তার ঘর কিংবা বাড়ি অনুযায়ী একটি ডিহিউমিডিফায়ার কিনে নিতে হবে। আর এই ডিহিউমিডিফায়ারারের মাপ অনুযায়ী হেরফের ঘটে দামেরও।