দিল্লি : সারা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস নিয়ে। এই মারণ ভাইরাসের কবলে যাতে আরও মৃত্যু ও সংক্রমণের হার না বাড়ে তার জন্য গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লক ডাউন ঘোষণা করেছেন। যার ফলে সমস্ত জমায়েত ও যান চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু তার লক ডাউন বিধি জারির আগেই ঘটে গিয়েছে দূর্ঘটনা। গত ৮ মার্চ থেকে ১০ মার্চ দিল্লির নিজামুদ্দিনের একটি মসজিদে ধর্মীয় সমাবেশ হয়। সেই সমাবেশে প্রচুর মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এই সমাবেশের পর ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্ত হয়ে ৭ জন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ওই সমাবেশে উপস্থিত আরও ৪৪১ জনের শরীরে কোভিড-১৯ এর জীবানুর খোঁজ মিলেছে। এদের মধ্যে ৪১ জনকে আগেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। গতকাল আরও বাকি ৪০০ জনকে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, ওই সমাবেশের আরও ১১০০ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, মসজিদ কতৃপক্ষের এটি দায়িত্বজ্ঞানহীন কার্যকলাপ। এখন নোভেল করোনা ভাইরাসের দাপটে জবুথবু গোটা বিশ্ব। তিনি অনুরোধ করেছেন এখন জমায়েত এড়িয়ে চলতে। আরও জানা গিয়েছে, এই সমাবেশে অংশ নেওয়ার পরে তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, জম্মু-কাশ্মীর, পশ্চিমবঙ্গ ও আন্দামানে ফিরে গিয়েছেন অনেকে। তাঁদের এখন চিহ্নিত করা সরকারের পক্ষে একটি কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।