শ্রেয়া চ্যাটার্জি- ভারতে গঙ্গা দশহরা একটি বিখ্যাত উৎসব। বিশেষত উত্তরপ্রদেশ, বিহার, উত্তরখন্ড, পশ্চিমবঙ্গ এর হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষেরা এটি পালন করে থাকেন। তারা প্রত্যেকে একত্রিত হয়ে পবিত্র গঙ্গা নদীর পাড়ে দাঁড়ান। গঙ্গাকে উদ্দেশ্য করে আরতি করা হয়। প্রতিবছর ভারতীয়রা এই দিনে গঙ্গা জলে ডুব দিয়ে আসেন, তার শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য। কিন্তু এই বছর, হরিদ্বার, প্রয়াগরাজ গড়মুক্তেশ্বর, ঋষিকেশ একেবারে মরুভূমির ন্যায় দেখাচ্ছে। পুণ্যার্থীরা কেউই গঙ্গার ঘাটে পৌঁছাননি। চারিদিকে শুনশান।
করোনা ভাইরাস এর জন্য গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে যখন লকডাউন চলছে তখন মানুষকে বাড়িতে বসেই মনে মনে কল্পনা করে নিতে হচ্ছে আগের বছরের সেই দিনগুলো। তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বাড়িতেই গৃহবন্দী হয়ে রয়েছে। তবে বারানসীর সিআরপিসির ১৪৪ অংশ খুললেও চার জনের বেশি একসঙ্গে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সেখানকার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট কৌশল রাজ শর্মা জানান, “যদি কেউ এই নিয়ম লংঘন করত, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হত।”
মানুষরা যেহেতু গৃহবন্দি তাই গঙ্গার জল অনেকটা পরিষ্কার হয়েছে। শুধু তাই নয়, গোটা বিশ্ব জুড়েই দূষণের মাত্রাটা অনেকটা কমে গিয়েছে। যার ফলে গঙ্গা বা অন্যান্য নদীতে থাকা প্রাণীকূল অনেক স্বচ্ছন্দে তাদের জীবনযাপন করতে পারছে। অধ্যাপক ডক্টর পি.কে মিশ্র জানিয়েছে, বারানসি কাছে গঙ্গা জলের প্রায় ৪০ – ৫০ শতাংশ দূষণ কার্যত উধাও হয়ে গেছে।