গত চারদিন ধরে দাউদাউ করে জ্বলছে উত্তরাখন্ডের কুমায়ূন এলাকার বিস্তীর্ণ বনভূমি। চার বার আগুন লেগে ছাই হয়ে গিয়েছে বিস্তীর্ণ বনভূমি অঞ্চল। আগুনের ফলে পুড়ে গিয়েছে ৫ থেকে ৬ হেক্টর জমি। ক্ষতি হয়েছে ১ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা। দুজন বনকর্মীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। উত্তরাখণ্ডের ৭১.০৫ শতাংশ এলাকাই বনভূমি অঞ্চল। সেখানে রয়েছে বিখ্যাত ও দুর্লভ গাছ। গোটা ভারতবর্ষে যত প্রজাতির পাখি রয়েছে তার বেশিরভাগ প্রজাতির পাখি বিচরণ করে এই বনভূমিতে। এছাড়া বহু বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি প্রাণীর বাসস্থান উত্তরাখণ্ডের এই বিস্তীর্ণ বনভূমি অঞ্চল। দাবানলের ফলে এবার তাঁদের অস্তিত্ব সংকটে।
আগুনের তীব্রতার জেরে দাবানলের পরিস্থিতি সামাল দিতে বনকর্মীদের বেশ খানিক বেগ পেতে হচ্ছে। সারাবছর ধরে প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকার ব্যাবসা বানিজ্য হয় এই বনভূমিকে ঘিরেই। উত্তরাখণ্ডের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এই বনভূমি। তাই এই বিস্তীর্ণ বনভূমি অঞ্চল আগুনের ফলে ছারখার হয়ে গেলে ক্ষতির মুখে পড়বে পরিবেশের ভারসাম্য, জীববৈচিত্র্য ও রাজ্যের অর্থনীতি। গত চারদিন ধরে এই বনভূমিতে আগুন লাগার ফলে উত্তর ভারতের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। আরও ০.২ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে এই দাবানলের ফলে। ধোঁয়া ও ছাইয়ের ফলে দূষণ ছড়াচ্ছে পরিবেশে, বাতাসে বাড়ছে ব্ল্যাক কার্বনের পরিমাণ।
কুমায়ূন ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি দাবানলের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। নৈনিতাল, আলমোরা, পউরি গাড়ওয়াল, দেরাদুন এবং তেহরি থেকেও দাবানলের খবর জানা গিয়েছে। চলতি বছরে ৪৬ টি দাবানলের ঘটনা ঘটেছে উত্তরাখণ্ডে। উত্তরাখণ্ডের এই দাবানল কিছু দিন আগের অট্রেলিয়ার দাবানলের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এমন ভয়াবহ দাবানলের ফলে চিন্তায় পরিবেশবিদেরা।