ভারতের ক্রমবর্ধমান দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক গঠিত একটি প্যানেল ২০২৭ সালের মধ্যে ডিজেল যান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন করা হবে। ডিজেল যানবাহন নিষিদ্ধ করার ফলে বায়ু দূষণের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে। কারণ ডিজেল যানবাহন পেট্রোল যানবাহনের তুলনায় অনেক বেশি কালো ধোঁয়া নির্গত করে। এই ধোঁয়া শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ।
প্যানেল শহরগুলির জনসংখ্যা অনুযায়ী ডিজেল যান নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করেছে। ১০ লাখের বেশি জনসংখ্যার শহরগুলোতে ২০২৭ সালের মধ্যে ডিজেল যান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হবে। এছাড়াও, ২০৩০ সালের মধ্যে শুধুমাত্র বৈদ্যুতিক বাসগুলোকেই সিটি পরিবহন ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যাত্রীবাহী গাড়ি ও ট্যাক্সিগুলো ৫০% পেট্রোল এবং ৫০% বৈদ্যুতিক চালিত হতে হবে। ২০৩০ সাল নাগাদ বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি বছরে ১ কোটি ইউনিট ছাড়িয়ে যাবে।
এই পদক্ষেপগুলি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বায়ু দূষণের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে। এছাড়াও, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমে যাবে এবং নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের এই সুপারিশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভারতের পরিবেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ভারত নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারে বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।