অরূপ মাহাত: আশা ছিল তিন শূন্য ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেবে গেরুয়া শিবির। কিন্তু ইভিএম খুলতেই উল্টে গেল পাশার চাল। উপনির্বাচনে খাতায় খুলতে পারল না বিজেপি। লোকসভা ভোটের ব্যবধানে জয় নিশ্চিত থাকা দুই আসন খোয়াতে হলো তৃণমূলের কাছে। দিনের শেষে চওড়া হাসি মমতার মুখে।
অন্যদিকে, বিজেপি শিবিরে তখন উল্টো ছবি। হারের কারণ নিয়ে চলছে কাটাছেঁড়া। এরই মাঝে নিজের গড়ে ২০ হাজারেরও বেশি ব্যবধানে হেরে কার্যত রাজ্য সভাপতির পদ ছাড়ার ঈঙ্গিত দিলেন।
হারের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘খড়গপুরে গুন্ডাবাহিনী ও পুলিশের যোগসাজশে ভোট করিয়েছে তৃণমূল। দাগী আসামীদের ভোটের আগের দিন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ফোন করে ভোট না দিতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে।’
অন্য দুই কেন্দ্রে হারের ক্ষেত্রে এনআরসি-র প্রভাব রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। এরপরই হারের দায় মাথা পেতে নেন তিনি। বলেন, ‘আমি দলের অনুগত সৈনিক। দল যদি বলে সভাপতির পদ ছেড়ে দিতে রাজি আছি।’