পঞ্চায়েত ভোটে বাংলার অধিকাংশ আসনে বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতেই পারেননি। ভোটের দিন কি ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস চলছিল সেই স্মৃতিও তাজা। রবিবার তথা আজ ঝাড়গ্রামে সভা করে পঞ্চায়েত ভোটের সেই স্মৃতিই কৌশলে উস্কে দিতে দেখা গেল রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষকে(Dilip Ghosh) । এইদিন তিনি বললেন,”পঞ্চায়েতের বদলা বিধানসভা ভোটের মাধ্যমে নিতে হবে। তখন আর রাজ্যের পুলিশ বুথের ধারে কাছে ঘেঁষতে ধারে কাছে ঘেঁষতে পারব না। তারা বুথ থেকে একশ মিটার দূরে বসে খইনি খাবেন। বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাদের জলপাই রঙের পোশাক, হাতে চমকাবে স্বয়ংক্রিয় বন্দুক। সেই কারণে ভোটার কার্ড হাতে লাইন দাঁড়িয়ে পড়বেন। পাবেন না ভয়।”
এইদিন ঝাড়গ্রামে যোগদান মেলা করেন রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের সভাপতি। তাতে সামিল হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। বক্তৃতায় এইদিন দিলীপ বাবু বলেন,”এই ঝাড়গ্রামের মানুষ দশ বছর আগে বদল চেয়েছিলেন। কারণ, অনুন্নয়ন গ্রাস করেছিল এই জনজাতি অধ্যুষিত এলাকাকে। আর দিদি বলেছিলেন, জঙ্গলমহল হাসবে। কিন্তু পরে দেখা গিয়েছে, দিদির পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। তিনি পিসি হয়ে গিয়েছেন। জঙ্গলমহলের কোনও উন্নতিই হয়নি। এখনও কেন্দু পাতা কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে হয় লাখ লাখ জনজাতি পরিবারকে।
জঙ্গলমহলে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের সন্ত্রাসের কথা উল্লেখ করেন রাজ্যের বিজেপি সভাপতি। তার আগেই শুভেন্দু বলেছেন, ঝাড়গ্রাম আর পুরুলিয়া জেলা পরিষদ গেরুয়া শিবির জিতেছিল। রাতের অন্ধকারে পুলিশ দিয়ে পদ্মফুলের ব্যালটকে জোড়া ফুল করা হয়েছিল। যেহেতু এই অঞ্চলে সংখ্যালঘু ভোটের সংখ্যায় কম। সেই কারণে পদ্ম শিবিরের পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৬০ টি আসনে নিরঙ্কুশ জয়ের কৌশল নিয়ে এগিয়ে থাকতে চাইছে।
রাজ্যের বিজেপি বাবু এইদিন সভা শেষে সাংবাদিকদের বলেন,”এত দিন দিদিমণি বলেছেন, পাহাড় হাসছে। সবাই হাসছে। ভোটের পর বাংলা দেখবেন উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহলে পিসি ভাইপোকে কাঁদিয়ে ছেড়ে দিয়েছে।”