বিধানসভা নির্বাচন একেবারে দোরগোড়ায়। তার আগে প্রত্যেকটি দল তাদের অস্ত্র সাজাতে শুরু করে দিয়েছে। এরই মধ্যে বাঁকুড়ার শুনুকপাহাড়ীর সভা থেকে তিনি একাধারে রাজ্যের সব রাজনৈতিক বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে আক্রমণ হানলেন। বিজেপি দলের চরম অরাজকতা নিন্দা করে তিনি সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছেন, “আমাকে ভয় দেখিয়ে কিচ্ছু হবে না। বিজেপি বাংলাতে একটা আসনও পাবে না। আমি জেলে থাকলেও তৃণমূলকে বাংলা জেতাবো।” অবশ্য এই কথার পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জননেত্রীর কথার পাল্টা জবাব দিয়েছেন। তিনি তার বক্তব্যকে বিদ্রুপ করে বলেছেন, “মমতা বুঝতে পেরে গেছে তার শেষ সময় চলে এসেছে। তাই সে জনগণের কাছ থেকে সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু এরকম সহানুভূতি নিয়ে একবার আধবার জেতা যায়। সব সময় এক স্ট্র্যাটেজি কাজে লাগে না। মানুষ এখন সব বুঝে গেছে। তাই লোকসভা ভোটে বা পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল টিকতে পারেনি। এবার বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের হার নিশ্চিত। এটা বুঝেই মমতা ভয় পেয়ে গেছে। তাই তো সে তিন দিন ধরে জঙ্গলমহলে পড়ে আছে।”
অন্যদিকে এদিন সভায় বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা ছড়িয়ে অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগ জানিয়েছে। ভোটের আগে বিজেপি সরকার টাকা ওড়াচ্ছে এবং তৃণমূলের দল ভাঙার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ মমতার। তিনি সরাসরি গেরুয়া শিবিরকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “আমি সব কথাই জানতে পারি। কে কার সাথে কবে দেখা করছে বা কে কার সাথে কি কথা বলছে সব আমার জানা। বিজেপি টিএমসি কর্মীকে ২ কোটি টাকা অফার করছে যাতে সে দল ভেঙে বিজেপিতে চলে যায়। এছাড়াও বিধায়কদের একাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা চলে যাবে বলে ফোন আসছে।”
এছাড়াও এই দিন সভায় মমতা সিপিএম শিবিরকে আক্রমণ করতে বাদ দেয়নি। তিনি সিপিএম শিবিরকে বিজেপির পায়ে পড়ে আছে বলে বিদ্রুপ করেছেন। এছাড়াও সিপিএম দল “লোভী” বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। মমতার এই কথার পাল্টা জবাব দিয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
সুজন চক্রবর্তী মমতাকে জবাব দিতে গিয়ে স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পেরে গেছে বাংলাতে তার শেষ অবস্থা। সবাই তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর থেকে আস্থা হারিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তিনি ভুলভাল বকছেন।” আর সিপিএম দল লোভী এই কথার প্রতিক্রিয়াই সুজন বাবু বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো সিপিএমকে লোভী বলছেন! তাহলে হিম্মত থাকলে দলের নেতাদের সম্পত্তি হিসেব দিক মমতা। তৃণমূল আমলে নেতারা যেভাবে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে তা হিসেব না দেখালেও রাজ্যের মানুষ খালি চোখে দেখতে পাচ্ছে।”