আসন্ন ডিসেম্বরে কলকাতা আর হাওড়ার পুরভোট নিয়ে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্ট। এখনো এই মামলার শুনানি হয়নি আর এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের এহেন ভূমিকা নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন রাজ্য বিজেপি। শুক্রবার সকালে প্রকাশ্যে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ শাসকদলকে কটাক্ষ করলেন। একপ্রকার কড়া ভাষায় নিশানা করলেন রাজ্য সরকারকে। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন দিলীপ ঘোষ প্রকাশ্যেই বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন তো রাজ্য সরকারই চালায়। তাই তাদের ইচ্ছামতো চলছে।
রাজ্যে সব পুরসভায় একসঙ্গে ভোট করার দাবি করেছিল বিজেপি। কিন্তু সেই দাবিকে পাত্তা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ পদ্ম শিবিরের। এদিন তিনি
দাবি করেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে রাজ্য সরকার চালায়। সে কারণেই পুরভোটের বিষয়টি নিয়ে আদালতে শুনানি চললেও কমিশনকে ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করতে হল। একই সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, তৃণমূল কলকাতা দখলে এতটাই মরিয়া হয়েছে যে পুনর্নির্বাচনের সময় পর্যন্ত রাখতে চায়নি। তিনি আরো বললেন, প’শ্চিমবঙ্গে কোনও নির্বাচন শান্তিতে হয় না। আর হবেও না। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ডজন ডজন লোক মারা গিয়েছে। মিডিয়া গরম করে রাজনীতি করতে চাইছে।”
প্রসঙ্গত, আগামী ডিসেম্বরের ১৯ এ হতে চলেছে কলকাতা পুরভোট। ইতিমধ্যে মোট ১৪৪টি ওয়ার্ডেই ১৯ তারিখ পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। আর ভোটগনণা করা হবে খুব সম্ভবত ২১ তারিখ। আর প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১ ডিসেম্বর। মনোনয়ন প্রত্যাহার করার শেষ দিন ৪ ডিসেম্বর। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরভোট নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হলেও হাওড়া নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বাহিনী নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এলহ্ন ডিজির সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। মোট বুথ ৪,৭৪২টি। মোট ভোটারের সংখ্যা ৪০ লাখ। আর কলকাতা পুরভোট হবে ইভিএমে।
শুক্রবার এই প্রসঙ্গ টেনে এনে দিলীপ ঘোষ আরো বলেন,”গোটা রাজ্যে ৪০ শতাংশ জায়গায় এই নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু সেই সব জায়গা বঞ্চিত করে রেখে শুধু কলকাতায় কেন। সব জায়গায় ভোট হওয়া দরকার। মানুষকে প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া হোক, যাতে উন্নয়ন ঠিকঠাক হয়।”