প্রবীণ নাগরিকদের জন্য রেলের ভাড়ায় ছাড় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। প্রায়ই এটি পুনরুদ্ধার করার বিষয়ে কথা বলা হয়। বিষয়টি সংসদের দুই কক্ষ লোকসভা ও রাজ্যসভাতেও উত্থাপিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাজেট আসন্ন। সেখানে এ ব্যাপারে আলোচনা বা কোনো ঘোষণা করা হতে পারে বলে আশা করছে আমজনতার একাংশ।
কোভিড-১৯ মহামারীর আগে প্রবীণ নাগরিক এবং স্বীকৃত সাংবাদিকরা রেলের ভাড়ায় ৫০ শতাংশ বিশেষ ছাড় পেতেন। করোনা মহামারির সময় দেশে লকডাউন হয়েছিল, সেই সময় ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন ঘটনা ঘটল, যখন দেশে ট্রেনের চাকাও থেমে যায়। পরে ধীরে ধীরে ট্রেন চলাচল শুরু হয় এবং ২০২২ সালের জুনে পুরোপুরি পরিষেবা শুরু করা হয়। তবে রেলের কার্যক্রম আবার স্বাভাবিক হলে প্রবীণ নাগরিক ও স্বীকৃত সাংবাদিকদের জন্য ভাড়ায় ছাড় বাতিল করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকার এর আগেও বহুবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে, তাতে বোঝা গিয়েছিল প্রবীণ নাগরিকরা রেলের ভাড়ায় আর ছাড় পাচ্ছেন না। যদিও এর আগে বলা হয়েছিল, কোনও রুটের ট্রেনের টিকিটের দাম যদি ১০০ টাকা হয়, তাহলে রেলের কাছ থেকে মাত্র ৪৫ টাকা নেওয়া হচ্ছে, অর্থাৎ প্রত্যেক যাত্রীকে ১০০ টাকার টিকিটে ৫৫ টাকা ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
গত বছর লোকসভায় জানানো হয়েছিল , ২০১৯-২০ সালে যাত্রী টিকিটে ৫৯,৩৮৭ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছিল রেল। প্রবীণ নাগরিকদের দেওয়া ছাড় বন্ধ করে দিয়ে রেলওয়ে বড় অর্থ সাশ্রয় করছে। এক আরটিআইয়ের জবাবে এই তথ্য দিয়েছিল রেল। রেল জানিয়েছিল, ২০২০ সালের ৩০ মার্চ থেকে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রবীণ নাগরিকদের কাছ থেকে আয় হয়েছে ৩,৪৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে রয়েছে ছাড় প্রত্যাহারের ফলে অতিরিক্ত ১,৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।