মঙ্গলবার সকাল সাতটায় কলকাতা এবং হাওড়ার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ৩৭ এবং ৩৬ অর্থাৎ বেশ ভালো বলা চলে। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ঝড়ো হাওয়া এবং দিনভর বৃষ্টির কারণে দীপাবলিতে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাইনি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত বছর দিওয়ালির পরের দিন কলকাতার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ২০৭। এর আগে ২০২০ সালে কলকাতার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ১২৭ এবং ২০১৯ সালে ছিল ৩২৬। এদিকে হাওড়ায় গত বছর এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ২৬৫ এবং ২০২০ সালে ২১৭।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী কোন শহরের বাতাসের মানসূচক শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে হলে সেটাকে ভালো বলা হয়। ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে সন্তোষজনক। ১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে থাকলে সূচক মাত্রাকে বলা হয় সহনীয়। ২০১ থেকে ৩০০ হলে বলা হয় খারাপ, ৩০০ থেকে ৪০০ হলে অতি খারাপ এবং ৪০১ থেকে ৫০০ হলে খুব খারাপ।
দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স মঙ্গলবার সকালে ছিল ৩২৬। জাতীয় রাজধানী সংলগ্ন এলাকার গাজিয়াবাদে দূষণের মাত্রা ছিল ২৮৫, নয়ডা এলাকায় ৩২০, গ্রেটার নয়ডা এলাকায় ২৯৪, গুরুগ্রাম এলাকায় ৩১৫ এবং ফরিদাবাদে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ৩১০। এছাড়াও গত সাত বছরের তুলনায় এবারে দিল্লি এবং তার সংলগ্ন এলাকায় বাতাসের কোন মান সূচক অনেকটা ভালো বলে জানিয়েছে ভারতীয় পরিবেশ বিভাগ। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ছিল মুম্বাইয়ের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স। সেই তুলনায় কলকাতায় বাতাসের মান এই সমস্ত টায়ার ওয়ান সিটির তুলনায় অনেকটাই ভালো।