সকালে উঠে খালি পেটে এই ৩টি আসন করলেই কমে যাবে উচ্চ রক্তচাপ
ভুজঙ্গাসন থেকে শুরু করে প্রাণায়াম, এইগুলি করতে পারলে আপনার শরীর ভালো থাকবে এবং আপনার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমে যাবে
আমাদের ভারতীয়দের লাইভ স্টাইল এবং বিভিন্ন ধরনের বদ অভ্যাস এর কারনে মাঝে মধ্যেই ব্লাড প্রেসার বেশ কিছুটা উঁচু থাকে। ভারতীয়দের বেশ অনেক মানুষ হাই ব্লাড প্রেসারের রোগী হন এবং তার দরুন বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুস্থতা হবার সম্ভাবনা থাকে। স্ট্রোক, থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের হার্ট অ্যাটাক এবং অন্যান্য রোগের কারণ হতে পারে এই উচ্চ রক্তচাপ।
এই রোগের থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে নির্দিষ্ট কয়েকটি ব্যায়াম রয়েছে যেগুলো আপনি করতে পারেন। সকালবেলা আধঘন্টা যদি আপনি হাঁটতে না পারেন তাহলে কিছু কিছু যোগাসন রয়েছে যেগুলো আপনার সাহায্য করবে। এরকমই তিনটি যোগাসনের ব্যাপারে আলোচনা করা যাক।
শবাসন – প্রথমটি হলো শবাসন। এই আসনটি করার জন্য পা দুটো সমান রেখে সোজা হয়ে শুয়ে থাকুন। রিল্যাক্স করুন নিজের শরীরকে, চোখ বুজে পুরো শরীরের ভার ছেড়ে দিন। এই আসনটি করলে আপনার শরীরের সব কয়টি অংশ, কোষ, একভাবে কাজ করতে পারে। শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করুন এবং চিন্তাভাবনাগুলো দূরে সরিয়ে নিজেকে রিল্যাক্স রাখুন। স্নায়ুতন্ত্র এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসবে এই যোগাসন করতে পারলে। এছাড়া শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে শবাসন। আপনার স্ট্রেস কমবে, মানসিক শান্তি বজায় থাকবে। অন্য কোন ওষুধ খাওয়া দরকার পড়বে না, আপনার মন সবসময় ফুরফুরে থাকতে পারে।
ভুজঙ্গাসন – দ্বিতীয় টি হল ভুজঙ্গাসন। কেউটে সাপ যেমন ফণা তুলে দাঁড়াতে পারে, ঠিক তেমনভাবেই আপনাকে নিজের শরীরের উর্ধাংশটা সাপের ফনার মতো করে উপরের দিকে তুলতে হবে। এই ভুজঙ্গাসনের আক্ষরিক অর্থ হলো সাপের মত করে যোগাসন। ভুজঙ্গ কথার অর্থ সাপ। এই আসন করার জন্য প্রথমে পা জোড়ার অবস্থায় কোমর থেকে মুখ পর্যন্ত হাতের উপর ভর করে উপরের দিকে তুলুন, ঠিক যেমনভাবে কেউটে সাপ নিজের ফণা তোলে। এই আসনটি করলে আপনার ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আসবে, স্পন্ডিলাইটিস এর মত রোগ কমে যাবে। আপনার মানসিক উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
প্রাণায়াম – এটি একটি ব্রিদিং এক্সারসাইজ। এটা প্রথমে ধ্যান করার মত বসুন, তারপর ধীরে ধীরে নাক দিয়ে যতটা সম্ভব শ্বাস নিন এবং ঠিক যেভাবে শ্বাস নিয়েছেন ঠিক সেইভাবে নিঃশ্বাস ত্যাগ করুন। সঠিক নিয়ম মেনে যদি আপনি শ্বাস গ্রহণ করেন তাহলে আপনার মন ভালো থাকবে, ফুসফুস সুস্থ থাকবে, শ্বাসকষ্ট কমবে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এই আসন করতে পারলে আপনি অত্যন্ত সতেজ এবং ফুরফুরে থাকবেন সারা দিন। তবে জানিয়ে রাখি, কখনোই কিন্তু ভরা পেটে কোন আসন করবেন না। প্রাণায়াম করতে গেলে স্নায়ু সবসময় সতেজ রাখবেন, সকালবেলা উঠে খালি পেটে এই সবকটি আসন করবেন।