ভারতে ট্রেন পরিষেবা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। দূরে কোথাও যাওয়ার জন্য মোটামুটি সাধ্যের মধ্যে খরচে কম সময়ে পৌঁছে যাওয়া যায় এক্সপ্রেস ট্রেনের মাধ্যমে। ভারতীয় রেল বর্তমানে দেশবাসীর কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আনছে। আর তার উদাহরণ হল গোটা ভারতে বন্দে ভারত ট্রেনের রুট চালু করা। সাধ্যের মধ্যে খরচ করে ভারতীয় রেলওয়ে ব্যবহার করতে পছন্দ করেন সকলেই। দূরে কোথাও যেতে হলে এক্সপ্রেস ট্রেনে আগে থাকতেই ট্রেনের টিকিট বুক করতে হয়। তবে অনেক সময় কনফার্ম টিকিট পাওয়া যায় না। তখন থাকতে হয় ওয়েটিং লিস্টে। যদি কনফার্ম টিকিট এর থেকে কেউ তার যাত্রা বাতিল করে তাহলে এই ওয়েটিং লিস্টের টিকিট কনফার্ম হয়। তবে আপনি কি এতদিন জানতেন যে ভারতীয় রেলে ওয়েটিং লিস্ট ৭ রকমের হয়। কি কি ধরন এবং তার কি বিশেষত্ব জানতে এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
RAC: যদি একজন যাত্রীকে RAC টিকিট দেওয়া হয়, তাহলে সম্ভবত চার্ট তৈরির সময় তার টিকিট নিশ্চিত হয়ে যাবে এবং তিনি বার্থ পাবে। চার্ট তৈরির পরেও যদি টিকিট RAC থেকে যায়, যাত্রীকে একটি অর্ধেক বার্থ (সিট) বরাদ্দ করা হয়, অর্থাৎ RAC টিকিট স্ট্যাটাস সহ দু’জন ব্যক্তির জন্য একটি সাইড-লোয়ার বার্থ বরাদ্দ করা হয়।
RSWL: রোডসাইড স্টেশন ওয়েটিং লিস্ট (RSWL) বরাদ্দ করা হয় যখন রাস্তার পাশের স্টেশন পর্যন্ত যাত্রার জন্য বার্থ বা সিট বুক করা হয় এবং দূরত্বের সীমাবদ্ধতা প্রযোজ্য নাও হতে পারে। এই অপেক্ষমাণ তালিকায় নিশ্চিত টিকিটের সম্ভাবনাও খুব কম।
GNWL: জেনারেল ওয়েটিং লিস্ট (GNWL)। এটি ওয়েটিং লিস্ট (WL) টিকিট যাত্রীদের জন্য। এটি নিশ্চিত বুকিং বাতিল করার পরে জারি করা হয়। এটি অপেক্ষা তালিকার সবচেয়ে সাধারণ প্রকার এবং নিশ্চিতকরণের সর্বোচ্চ সম্ভাবনা থাকে।
PQWL: এই ওয়েটিং লিস্ট তালিকা সাধারণের থেকে অন্যরকম। এতে সেই যাত্রীরা আসেন যারা শুরু থেকে শেষ স্টেশনের মধ্যবর্তী কোনো জায়গাতে ওঠা-নামা করবেন। যেমন দিল্লি থেকে কলকাতাগামী ট্রেন থেকে যে যাত্রীরা লখনউ থেকে ট্রেন ধরে পাটনায় নেমে পড়বেন তাদের জন্য এই PQWL।