নয়াদিল্লি: ব্রিটেন যেভাবে শেষ মুহূর্তের ট্রায়াল দিয়ে বাজারে করোনা ভ্যাকসিন আনার জন্য প্রস্তুতি চালিয়েছে, ঠিক সেভাবেই ভারত একই পথে প্রস্তুতি চালাচ্ছে। বলা যায় প্রস্তুতি চরমে। বাজারে করোনা টিকা না এলেও দৌঁড়ে শেষ ধাপে রয়েছে বহু সংস্থাই। এই অবস্থাতে তাই কীভাবে ভ্যাকসিন কাদের মধ্যে সরবরাহ করা যায়, তা নিয়ে ব্লু প্রিন্ট সাজাচ্ছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে প্রথমেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, করোনা ভ্যাকসিন পেতে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয়। তবে আধারের সাহায্যেই দেখা হবে কারা ভ্যাকসিন পেল।
জানা গিয়েছে, বাজারে করোনা ভ্যাকসিন আসা মাত্র প্রথম দফায় ৫০ বছরের বেশি এমন ২৬ কোটি মানুষকে সেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কো মরবিডিটি রয়েছে কিন্তু বয়স ৫০-এর কম এমন এক কোটি মানুষকে ফেলা হচ্ছে বিশেষ তালিকায়। এরাও এই দফায় করোনা ভ্যাকসিন পাবে।
এছাড়া জরুরি ভিত্তিক পেশার সঙ্গে যারা যুক্ত, যেমন মিউনিসিপ্যলিটি কর্মী, পুলিশকর্মী, সশস্ত্র বাহিনী, স্বাস্থ্যকর্মী সহ আরও দু’কোটি মানুষ প্রথম দফায় বাজারে আসা করোনা ভ্যাকসিন পাবেন। মনে করা হচ্ছে, চলতি বছরের শেষে কিংবা প্রথম বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই ভারতের বাজারে করোনা ভ্যাকসিন চলে আসবে। তাই ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলিকে ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য টাস্ক ফোর্স গড়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এই মুহূর্তে ভারতের করোনা চিত্রের দিকে তাকালে দেখা যাবে সর্বোপরি সুস্থতার হার সংক্রমণের হারের থেকে বেশি। তার ওপর করোনা ভ্যাকসিন যদি আর কয়েক মাসের মধ্যেই বাজারে চলে আসে, তাহলে মোদি সরকার করোনা মোকাবিলায় বিপুল সফলতা পেতে চলেছে, এমনটা বলা শুধুই সময়ের অপেক্ষা।