শ্রেয়া চ্যাটার্জি – রাস্তাঘাট শুনশান হওয়ায় একটুকরো বিস্কুট, এঁটো ভাত আর রাস্তায় পড়ে থাকে না। কেউ আদর করে মাথায় হাত বুলিয়ে খেতে দেয় না। অফিস, স্কুল, কলেজ সবই তো বন্ধ। যারা খেতে দেবে তারাই তো ঘরের মধ্যে বন্দি। ভয়ে মানুষ বাড়ি থেকেই বের হচ্ছেন না। তাহলে এই প্রাণীগুলি খাবে কি! সরকার থেকে এবং অনেক স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা থেকে এদেরকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দু রকমের ছবি ফুটে উঠেছে। কেউ কেউ আদর করে এদের খাওয়াচ্ছেন। কেউ আবার শাবল দিয়ে মেরে শরীরের হাড়, পাঁজর ভেঙ্গে দিচ্ছেন, তাছাড়া যারা খাওয়াচ্ছেন তাদেরকে লাথি খেতে হচ্ছে, শুনতে হচ্ছে হাজারো অপমান। যারা এদেরকে অপছন্দ করেন তারা হয়তো বা অবগত নন, পাহাড়া দিয়ে গোটা পাড়াকে রক্ষা করে এই পথের কুকুর গুলো। অচেনা, অজানা লোক ঢুকলে তারা ঘেউ ঘেউ করে চেঁচিয়ে ওঠে, অথচ এদের একটু খাবার দিতে গেলেই ভাঁড়ারে টান পড়ে। কিংবা এদের দেখলেই ইটের টুকরো দিয়ে মারতে ইচ্ছা করে। এটা কি সুবুদ্ধির লক্ষন নাকি শিক্ষিত মানসিকতার পরিচয়! উত্তর স্পষ্ট নয়।
যদি একান্তই খাবার দিতে অসমর্থ হন তাহলে দেবেন না, তবে দয়া করে এদের মারধর করবেন না। এরা আপনার, আমার থেকে একটু খাবার পেয়েই অনেকটা নিরাপত্তা দেয়। লকডাউনের জন্য অসহায় হয়ে পড়েছে এই পথের কুকুর গুলি। অনেক সময় মেয়ে কুকুর গুলোর সঙ্গে রয়েছে তার ছানাপোনারাও। মায়ের সাথে সাথে এরাও আছে চরম কষ্টে তাই যথাসাধ্য এদের জন্য ভাবুন। বিবেকানন্দ বহুদিন আগে বলেছেন ‘জীবে প্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর।’ তাই আমাদের উচিত যথাসাধ্য দান করা। এরা আজ বড্ড অসহায়। একটু বিস্কুট, দুমুঠো ভাত রেখে দিন এদের জন্য। ওদেরও বেঁচে থাকার সমান অধিকার রয়েছে।