গত মার্চ মাস থেকে গোটা দেশ জুড়ে চলছে লক ডাউন। আর এই লক ডাউনের জেরে বন্ধ সমস্তরকম যান চলাচল, বন্ধ রয়েছে অফিস, কর্মক্ষেত্র গুলি। ঘরবন্দী মানুষ। রাস্তাঘাট জনশূন্য। আর তার ফলেই বাতাসে কমছে দূষণের মাত্রা। যেকটি গাড়ি দেখা যায় রাস্তাঘাটে তাও হাতে গোনা। এমন পরিস্থিতির ফলে যেমন কমেছে বায়ুদূষণ তেমনি কমেছে শব্দ দূষণ। দূষণের মাত্রা কমে যাওয়ার ফলে গঙ্গায় ফিরেছে শুশুক। যাকে সাউথ এশিয়ান রিভার ডলফিনও বলা হয়।
মানুষ ঘরবন্দী আর এমন পরিস্থিতিতে খোলা মনে চারিদিকে নিভৃতে হেঁটে বেড়াচ্ছে পশুপাখিরা। দূষনের মাত্রা কমে যাওয়ায় অপরদিকে হরিদ্বারে গঙ্গার জল পান করার উপযুক্ত হয়ে উঠেছে। গত কয়েকদিনে প্রিন্সেপ ঘাট, বাবুঘাট সহ হুগলি নদীতেও দেখা মিলেছে গঙ্গা শুশুকের। পরিবেশবিদরা বলছেন, গঙ্গায় শুশুক বা ডলফিন ফিরে আসার প্রধান কারন হল দূষনের মাত্রা কমে যাওয়া।
জলদূষণ যেমন কমেছে তেমনি কমেছে শব্দদূষন। আর তার ফলেই গঙ্গায় শুশুকের দেখা মিলেছে। গঙ্গার দূষনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এই ডলফিন আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। জলের মধ্যে তরল ও কঠিন বর্জ্য পদার্থ ছাড়াও শব্দ দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যার ফলে ডলফিনেরা নিজেদের মধ্যে কথা বলতে পারে না। আর তাদের প্রধান শিকার হল জলে বসবাসকারী মাছ। মাছের নড়াচড়াতেই এরা বুঝতে পারে তাদের শিকার কোথায় রয়েছে।
শিকারের জন্য একটা নির্দিষ্ট তরঙ্গের মাধ্যমে তারা শিকারকে গ্রাস করে, তবে শব্দ দূষণ বেড়ে যাওয়ায় মাছ শিকার তাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। আর লক ডাউনে গত মাস থেকে দূষনের পরিমাণ এতটাই কমে গিয়েছে যার ফলে আবার এদের দেখা মিলেছে গঙ্গার শুশুকের। ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গা, মেঘনা, ঘর্ঘরা কর্ণফুলী নদীতে এই গঙ্গা শুশুকের বাস। একমাত্র এই জাতীয় ডলফিন মিষ্টি জলে বাঁচতে পারে।