ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতি

গ্রামের দিকে এই ব্যবসার খুব চাহিদা, সরকার থেকে পাওয়া যাবে ৩৫% ভর্তুকি

Advertisement

গ্রামীণ অর্থনীতির দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। একটি হচ্ছে কৃষিকাজ এবং অন্যটি পশুপালন। এই দুটি কাজ একে অপরের পরিপূরক। বহু শতাব্দী ধরে কৃষকরা চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। কিন্তু একই সাথে অতিরিক্ত আয়ের জন্য পশুপালনও করা হয়। ক্ষেত থেকে ফসলের অবশিষ্টাংশ পশুখাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। পশুর বর্জ্য থেকে পাওয়া সার তৈরি ফসল থেকে ভাল উত্পাদন পেতে সহায়তা করে। এখান থেকেই পাওয়া যেতে পারে নতুন একটা Business Idea, বাজারে এখন এই প্রোডাক্টের খুব চাহিদা রয়েছে।

অনেক খামারি ও গবাদি পশু পালনকারীরা তাদের খামারে পশুখাদ্য তৈরি করে এক বছরের জন্য সংরক্ষণ করেন। আপনি যদি বড় আকারে পশুখাদ্য প্রক্রিয়াকরণ স্থাপন করে ব্যবসা করতে চান তবে সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্স এবং রেজিস্ট্রার করা বাধ্যতামূলক। এই লাইসেন্সগুলি এফএসএসএআই দ্বারা জারি করা হয়। এসব ছাড়াও এনওসি ও পশুখাদ্য তৈরির মেশিন ব্যবহারের জন্য পরিবেশ অধিদফতরের অনুমতি নিতে হতে পারে। পশু সম্পর্কিত ব্যবসা হয় তবে পশুপালন বিভাগের কিছু আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন করতে হবে।

Animal food business

গ্রামে নিজের জমি থাকলে মোট খরচ থেকে অনেক টাকা সাশ্রয় হবে। কিন্তু নিজের জমি না থাকলে প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হতে পারে। আধুনিক পশুখাদ্য তৈরির মেশিন কিনলে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ করতে হবে। এ ছাড়া পশুখাদ্য বিক্রির জন্য পরিবহন, বিদ্যুৎ, প্যাকেজিং ও বাজারজাতকরণেও ব্যয় করতে হবে। এভাবে মোট ১০ থেকে ২০ লাখ টাকায় এক ইউনিট পশুখাদ্য স্থাপন করা যাবে।

স্পষ্টতই, গ্রামে বসবাসকারী মানুষ, কৃষক বা গবাদি পশু পালনকারীদের পক্ষে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করা সহজ হবে না। তাই কেন্দ্রীয় সরকার মাইক্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রি আপগ্রেডেশন স্কিম চালু করেছে, যার আওতায় মোট খরচের উপর ৩৫ শতাংশ ভর্তুকি পাওয়া যাবে। নাবার্ড বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি পশুখাদ্য ব্যবসার জন্য ঋণ সুবিধাও সরবরাহ করে। যদি আপনার নথিগুলি সঠিক হয় তবে আপনি ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মুদ্রা ঋণের জন্যও আবেদন করতে পারেন।

Related Articles

Back to top button