আমেরিকা :এবার নিজের দেশেরই সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিন ক্ষোভ উগড়ে বলেন, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাতা সংস্থাগুলির স্বার্থরক্ষা করতেই সবসময় যুদ্ধের হিরিক তোলে আমেরিকার সেনাবাহিনী৷ ইতিমধ্যেই আমেরিকার ঢোলে পড়ে গিয়েছে ভোটের কাঠি।
নভেম্বর মাসেই নির্বাচন, জোরকদমে চলছে ডেমোকক্র্যাট আর রিপাবলিকানদের প্রস্তুতি। জো বিডেনের বিরুদ্ধে রিপাবলিকান পার্টির তরফে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম ঘোষণা হয়েছে ৷ কিন্তু একের পর এক ঘটনার জন্য বার বার শিরোনামে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতো কিছুর পরে এদিন ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনোকিছুই বলেন নি, এমনকি হোয়াইট হাউজও খবরের সত্যতা স্বীকার করেনি৷
এটাই প্রথম নয়, এর আগেও ট্রাম্পের প্রতি মার্কিন সেনার বিরুদ্ধে অপমানসূচক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে৷ ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ সমাপ্তির একশো বছর পূরণ উপলক্ষে ফ্রান্স সফরে গিয়েও নিহত মার্কিন সেনাদের সম্পর্কে অপমানজনক শব্দ প্রয়োগ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ কিন্তু এতো কিছুর পরেও এই অভিযোগকে মিথ্যে বলেই দাবি করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ এদিনের এই ঘটনার পরে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সাধারণ মার্কিন সেনারা হয়তো আমায় পছন্দ করেন, কিন্তু সেনা কর্তারা সম্ভবত তা করেন না৷ কারণ তাঁরা সবসময়ই যুদ্ধ করতে চান যাতে যে সংস্থাগুলি বোমা, বিমান বানায়, তারা খুশি থাকে!”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কিত একটি অডিও প্রকাশ্যে আসার পর তোলপাড় হয় মার্কিন মুলুক। অডিওতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিদি ম্যারিয়ান ট্রাম্প ব্যারির কথোপকথন দুর্বল করে দিয়েছে মার্কিন রাজনীতির ভীত। মিথ্যুক, নীতিহীন কোনো কিছুই বলতে বাকি রাখেননি ম্যারিয়ান ট্রাম্প। অনেক আগে উপদেষ্টার পদত্যাগে জোর ধাক্কা খেয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প৷ আর এদিনের ঘটনা আরো একবার নতুন করে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারকে।