করোনা এড়াতে সকালে পান করুন একগ্লাস ‘ধনিয়া জল’, অবশ্যই উপকার পাবেন
ধনে বীজ আপনার দেহে ইমিউনিটি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
আমাদের রান্নাঘর এর বেশ কিছু জিনিস স্বাস্থ্যগুণে পরিপূর্ণ থাকে। আদা, রসুন এই দুটো জিনিসের ব্যাপারে প্রায় সকলেই জানেন। কিন্তু আপনারা কি জানেন এই তালিকায় একটি মসলাও যায়। ধনে পাতা, ধনে বীজ এবং ধনে গুড়ো এই ৩টি জিনিস বাঙালির হেঁশেলে অত্যন্ত পরিচিত একটি জিনিস। এই ধনে শুধুমাত্র রান্নায় অপূর্ব স্বাদ সৃষ্টি করার জন্য নয়, এই জিনিসটির বেশকিছু পুষ্টি গুণ রয়েছে। ধনে মসলাটি একেবারে ভিটামিনে ঠাসা। এই মসলায় আপনারা পেয়ে যাবেন ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে। এই ভিটামিন-সি আপনার দেহে ইমিউনিটি তৈরি করতে সাহায্য করে।
গত বছর যখন লকডাউন শুরু হয়েছিল তখন আয়ুশ মন্ত্রকের তরফ থেকে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, যেখানে লেখা ছিল কোন কোন খাদ্য দ্রব্যগুলি ইমিউনিটি তৈরি করতে সাহায্য করে। সেই তালিকায় নাম ছিল ধনের। আপনারা ঈষদুষ্ণ গরম জলের মধ্যে ধনে গুঁড়ো অথবা গোটা ধনে ভিজিয়ে রেখে সেই জল পান করলে লাভ পাবেন।
ধনে বীজ চিকিৎসাশাস্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ম্যাগনেসিয়াম, বিভিন্ন খনিজ মৌল, বিটা ক্যারোটিন, পলিফেনল, ক্যালসিয়াম, ফাইবার এবং আয়রন পরিপূর্ণ এই বীজ আপনার স্বাস্থ্য সঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তার সাথে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, রক্তস্রাবের সমস্যা দূর করা, ইমিউনিটি বৃদ্ধি করা এবং কিডনি সুস্থ রাখতে ধনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই গাছের পাতায় আপনারা পেয়ে যাবেন অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বিভিন্ন গুন। কিন্তু কীভাবে এই জল পান করবেন এবং কেন?
ধনে ভেজানো জল তৈরি করার জন্য একটা ছোট বাটিতে কিছুটা জল নিন। তারপর তাতে কিছুটা ধনে বীজ মিশিয়ে সেই জল মিনিট পাঁচেকের জন্য ফুটতে দিন। ফুটে গেলে সেই জল ছেঁকে নিয়ে প্রতিদিন সকালে পান করতে পারেন আপনি। যদি আপনার হাড়ের কোন সমস্যা থাকে, শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় না থাকে, কিংবা শরীরে অতিরিক্ত মেদ থাকে তাহলে এই ধরনের ভেজানো জল খেতে পারেন। সর্বোপরি এই ধনে বীজ আপনার দেহে ইমিউনিটি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। যার দরুন আপনার শরীরে করোনা ভাইরাসের আক্রমনের পরিমাণ কমবে।