বর্তমান যুগে ব্যস্ততা আগের থেকে বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। আর সেই ব্যস্ততার মাঝে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করা হয়ে ওঠে না অনেকেরই। অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া, ভেজাল খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ, অসময়ে খাবার খাওয়া, কম জল খাওয়া, পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নেওয়ার কারণে অনেকসময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। আর এর জন্য শরীরে একাধিক অস্বস্তি সৃষ্টি হয়ে থাকে। আর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে থাকেন কিংবা আয়ুর্বেদিকভাবে এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করে থাকেন। অনেকে আবার একাধিক ঘরোয়া টোটকাও ব্যবহার করে থাকেন। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, এই ধরনের সমস্যার সমাধান হতে পারে তিন ধরনের পানীয়তেই। এই নিবন্ধের সূত্র ধরে সেই প্রসঙ্গেই বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রথমেই জল খাওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে অনেকটা। নজর দিতে হবে খাওয়া-দাওয়ার প্রতিও। নিজেদের নিত্য খাদ্য তালিকায় ফাইবার যুক্ত খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। রেড মিট কিংবা ফ্যাট যুক্ত যেকোনো খাবার খাওয়ার পরিমাণ একেবারেই কমিয়ে দিতে হবে। তবে যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে হয়, তবে নিম্নোক্ত এই তিন ধরনের পানীয় নিজেদের প্রতিদিনের ডায়েটের অন্তর্ভুক্ত করা আবশ্যিক।
১) ইসবগুল- কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে অন্যতম কার্যকরী উপাদান ইসবগুল। এক গ্লাস জলে দুই টেবিল চামচ ইসবগুল ভালোভাবে মিশিয়ে পান করে নিলেই এই সমস্যা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২) দুধ ও ঘি- রাতে শুতে যাবার আগে হালকা উষ্ণ গরম দুধে যদি অল্পপরিমাণে ঘি মিশিয়ে পান করা যায়, তবে এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে অনেকটাই। এটি পাচনতন্ত্রের উন্নতির পাশাপাশি বিপাক প্রক্রিয়াকেও উন্নত করতে সক্ষম। উল্লেখ্য, দুধ ও ঘিয়ের মিশ্রণ এনজাইমের নিঃসরণকে বৃদ্ধি করে হজম শক্তিকে উন্নত করে। পাশাপাশি এটি শরীরের দূষিত পদার্থ নির্গত করতেও সহায়ক।
৩) চিয়া সিডের জল- কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে চিয়া সিডের জল ভীষণভাবে কার্যকরী। এক গ্লাস জলে এক টেবিল চামচ চিয়া সিড মাত্র ১০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে সেটি ছেঁকে খেয়ে নিলেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে। উল্লেখ্য, চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বর্তমান যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে থাকে।
তবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে যদি অবহেলা করা হয় তাহলে, অর্শের সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে রোগীর মলদ্বারের ভিতরের ও বাইরের চামড়া ফুলে যায়। যার ফলস্বরূপ মলত্যাগে সমস্যা হয়, হয় রক্তপাতও।