নতুন গাড়ি রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে ড্রাইভিং লাইসেন্স সব এখন রূপান্তরিত হচ্ছে স্মার্ট কার্ডে। সেখানকার কিউআর কোড ব্যবহার করে এবার থেকে গাড়ির মালিকের এবং চালকের ঠিকুজি কুষ্ঠী সবকিছুই জানা সম্ভব হবে। মে মাস থেকে চালু হবে এই নতুন ব্যবস্থা। এর পাশাপাশি পরিবহন দপ্তর বেসরকারি গাড়ির ক্ষেত্রে চালকের উপর নজরদারির জন্য চালু করতে চলেছে ইউনিক ডকুমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন নম্বর। এই নতুন ব্যবস্থা মূলত অপরাধ নিয়ন্ত্রণে গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী।
জানা গিয়েছে এবার থেকে গাড়ি কিনে রেজিস্ট্রেশন করালে স্মার্ট কার্ড সরাসরি মালিকের ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হবে। আপাতত নতুন গাড়ি রেজিস্ট্রেশন এর ক্ষেত্রে এই নতুন ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে এবং পরে ধাপে ধাপে সমস্ত গাড়িকে এই স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে এই একই রকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর ফলে একজনের নামে গাড়ি কিনে রেজিস্ট্রেশন কাগজ কারোর আটকে রাখার সুযোগ থাকবে না। ফলে সুবিধা হবে সাধারণ মানুষের।
পরিবহন দপ্তরের কর্তারা জানাচ্ছেন, কোথাও গাড়ির মালিক নিজে না চালিয়ে চালক রেখে দেন। সে ক্ষেত্রে গাড়ির মালিক চালকের আসনে না থেকে গাড়িতে বসে থাকলেও কোনো সমস্যা নেই। আবার অনেক সময়দেখা যায় মালিকের নামে গাড়ি রয়েছে অথচ তিনি গাড়ি ব্যবহার করেন না। চালক রয়েছে এবং বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হচ্ছে সেই গাড়ি। কখনো রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে বা ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছে। পন্যবাহী পরিবহনের ক্ষেত্রে এরকমটা হামেশাই হয়ে থাকে। মোটর ভেহিকেল আইন অনুযায়ী এসব ক্ষেত্রে চালকের হাতে মালিককে অনুমতি পত্র দিতে হয়। বেশিরভাগ মালিক এরকমটা করেন না। অনেকে আবার সাদা কাগজে লিখে ছেড়ে দেন। কিন্তু এই আইন বলছে নোটারি করে জুডিশিয়াল পেপারে লিখে তারপরে জমা দিতে হবে। পুলিশ থেকে বিষয়টি পরিবহন দপ্তরের নজরে আনা হয়েছে ইতিমধ্যেই। বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে পরিবহন দপ্তর।