দুয়ারে দুয়ারে সরকার শিবিরের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরি করার জন্য চলছে দীর্ঘ লাইন। এই লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকটা সময় চলে যাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। আর এই লাইনে দাঁড়িয়ে এবারে ধৈর্যচ্যুতি ঘটলো আসানসোলের স্থানীয় বাসিন্দাদের। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সেখানকার পরিস্থিতি। বন্ধ হয়ে গেল স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরির কাজ। আসানসোলের সালানপুর ব্লকের বাসুদেবপুরে রবিবার এই ঘটনার পর অস্বস্তি ছড়াল। জেমারি কমিউনিটি হলে এদিন ছিল কর্মসূচির কাজ। ভাংচুরের জেরে কার্যত তছনছ হয়ে গেল সেই কমিউনিটি হল। পুলিশ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই তিনজনকে আটক করেছে। পরে ভিডিও তৎপরতায় আবারও নতুন করে কার্ড তৈরির কাজ শুরু হয়।
নির্ধারিত দিনে সালানপুর ব্লকের বাসুদেবপুরে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরির কাজ শুরু হয়। তাতে যোগ দিয়েছিলেন বহু মানুষ। আগের দিন রাত থেকেই অনেকে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বেলা গড়ানো শুরু হলে সেই লাইন ধীরে ধীরে আরো বড় হতে শুরু করে। পরে ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন একে একে সেখানকার মানুষ। আচমকাই সেখানকার শিরীষ বেরিয়া গ্রামের কয়েকজন মানুষ লাইন ভেঙ্গে কমিউনিটি হলে ঢোকার চেষ্টা করলে শুরু হয় অশান্তি। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কমিউনিটি হলে পরিস্থিতি।
স্থানীয় বাসিন্দারা ওই শিরীষ বেরিয়া গ্রামের মানুষজনকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় যুবকরা গৌতম মন্ডল কে ধরে মারধর করা হয়। এরপর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শেখ হাসিফ কে ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলে জানা গিয়েছে। এর জেরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কমিউনিটি হলে টেবিল এবং চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকলে গন্ডগোল এর জেরে বেশ কয়েক ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয় স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের কাজ। ভাঙচুর করা হয় সেই কমিউনিটি হলে চেয়ার টেবিল। খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ গিয়ে পৌঁছানো সালানপুর থানার পুলিশ। পরে স্থানীয় মানুষ এবং সালানপুর বিডিওর তৎপরতায় আবারো স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। জানা গিয়েছে সন্ধ্যা অবধি কাজ চালানো হয়েছে।