নিউজরাজ্য

কাটোয়া ২ নং ব্লক প্রাণী সম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে হাঁস বিতরণ ও প্রশিক্ষণ শিবির

Advertisement

গৌরনাথ চক্রবর্ত্তী, পূর্ব বর্ধমানঃ পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া ২ নং ব্লকে মুক্তিধারা প্রকল্পে আদর্শ গ্রাম হিসেবে চিহ্নিত পলসোনা গ্রাম পঞ্চায়েত এর রোন্ডা গ্রামে মঙ্গলবার কাটোয়া ২ নং ব্লক প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের উদ্যোগে ও কাটোয়া ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগিতায় মোট ১২৫ জন উপভোক্তাদের প্রত্যেককে ৫ টি করে মোট ৬২৫ টি উন্নত মানের ২৮ দিন বয়সের অধিক ডিম উৎপাদনকারী উন্নত জাতের খাকী ক্যাম্পবেল হাঁসের বাচ্চা প্রদান করা হয় । এছাড়া এই ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি বিদ্যালয় কর্তৃক চিহ্নিত শারীরিক ওজনগত ভাবে অতি অপুষ্ট ১২ জন শিশুদের পরিবারের প্রধানদেরও ৫টি করে খাকী ক্যাম্পবেল হাঁস বিতরণ করা হয়। বিজ্ঞান সম্মত ভাবে হাঁস পালনের লক্ষ্যে উপভোক্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। হাঁস গুলির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রত্যেক উপভোক্তাদের কার্যকরী ঔষধ প্রদান করা হয়।

এই উপলক্ষে আদর্শ গ্রাম রোন্ডায় আয়োজিত বিতরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন আধিকারিক ডাঃ জয়কিংকর মান্না, ব্লকের সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের আধিকারিক শরৎ হাজরা, ব্লকের প্রাণী চিকিৎসক ডাঃ প্রশান্ত পাল, কাটোয়া ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, পলসোনা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাগর সাহা, ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃন্ময় বাবু সহ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন পর্যায়ের জন প্রতিনিধি ও দপ্তরের কর্মীবৃন্দ। এ উপলক্ষ্যে গ্রামবাসীদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।

কাটোয়া ২পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম আশা প্রকাশ করেন যে , এধরনের উন্নত জাতের হাঁসের বাচ্চা সঠিকভাবে ডাক্তারবাবুদের পরামর্শ মতো পালন করলে উপভোক্তাদের নিজ নিজ পরিবারের ডিমের চাহিদা সহজেই মিটতে পারে এবং স্থানীয় অঞ্চলে ডিমের ঘাটতি অনেকটাই মিটবে। প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন আধিকারিক ডাঃ জয়কিংকর মান্না উপভোক্তাদের প্রাণী পালনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আধুনিক ব্যবস্থা ও পারস্পরিক সমন্বয় ও সহযোগিতা গ্রহণে প্রাণী পালকদের সচেতন করেন। ডাঃ প্রশান্ত পাল উপভোক্তাদের হাঁসের সাধারণ রোগ এবং তার প্রতিষেধক টীকা প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন এবং জানান যে, আবার একমাস পরে এই হাঁস গুলির টীকা দিতে দফতরের প্রাণীমিত্রারা বাড়ি বাড়ি যাবেন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পরামর্শ দেবেন।

সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের আধিকারিক শরৎ বাবু ব্লকের সকল শিশু যাতে সুন্দর ও সুস্থ থাকে তার জন্য পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন। গ্রামের সাধারণ মানুষ এক সঙ্গে খাকী ক্যাম্পবেল হাঁস বাচ্চা, ওষুধ, বিজ্ঞান সম্মত ভাবে হাঁস পালনের পুস্তিকা ও প্রশিক্ষণ পেয়ে খুব খুশী। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, যে সকল উপভোক্তা হাঁস পেলেন তাদের এমজিএনআরইজিএস এর প্রকল্পে হাঁসের থাকার ঘর করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। উপপ্রধান সাগর বাবু প্রাণী সম্পদ বিকাশ বিভাগ ও ব্লক প্রশাসনের এই ধরনের জনমুখী কর্মসূচি সঠিকভাবে রূপায়ণের জন্য ধন্যবাদ জানান ।

Related Articles

Back to top button