বাতিল হয়েছে আসন্ন পুরীর রথযাত্রা। সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশে বাতিল করতে হয়েছে ঐতিহ্যবাহী পুরীর রথযাত্রা। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের পর দূর্গাপুজো হবে কিনা আশঙ্কার মেঘ জমেছে কলকাতার পুজো উদ্যোক্তাদের মনে। রথযাত্রা হলে প্রচুর ভক্ত সমাগম হবে এবং এই ভক্ত সমাগমে রাশ টানা সম্ভব নয় জেনেই পুরীর রথযাত্রার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে সুপ্রীম কোর্ট। পুরীর খবর সামনে আসার পর থেকেই কলকাতার পুজো উদ্যোক্তাদের মনে প্রশ্ন, পুরীর রথের দশা হবে না তো দুর্গাপুজোর? এই আশঙ্কা আরও বাড়ছে কারণ, অক্টোবর-নভেম্বর মাসে যখন পুজো হবে সেই সময়েই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা শিখরে পৌঁছানোর কথা।
করোনার প্রকোপে এই বছর এমনিতেও কলকাতার পুজো অনেক জৌলুসহীন হতো। কিন্তু ভিড়ের জন্যে পুরীর রথ বাতিল হওয়ার পর আদৌ পুজো হবে কিনা সে বিষয়ে চিন্তায় পড়েছেন বড় পুজো উদ্যোক্তারা। সুপ্রীম কোর্টের রায় আসার পর কলকাতার পুজো কমিটি ত্রিধারা সম্মিলনীর এক কর্তা বলছেন, “এবছর আমরা কোনোরকমেই পুজো করবো। একটা বছর একটু কষ্ট করতে হবে, কারণ সবার আগে মানুষের জীবন। আর লকডাউনের জন্য আর্থিক সমস্যায় বড় পুজো করার মতো পরিস্থিতিও এবার নেই।” আর এক বড় পুজো কমিটি চেতলা অগ্রণীর এক কর্তা বলেছেন, “এবছর কোনো বৈভব থাকবে না আমাদের পুজোয়। বড় করে পুজো হলেই মানুষের ভিড় হবে, সেক্ষেত্রে সুরক্ষা বিধি মেনে চলা মুশকিল হয়ে পড়বে। সবার আগে মানুষের জীবন, আমাদের সেটাই আগে ভাবতে হবে।”
তবে অনেক বড় পুজো কমিটিই এখনই হাল ছাড়তে চাইছেন না। লেকপল্লি পুজো কমিটির এক কর্তার কথায়, “ঠিকভাবে পরিকল্পনা করলে ভিড় এড়িয়েও পুজো করা সম্ভব। আলোচনা করে পরিস্থিতি দেখে ঠিক করা হবে কি করা যায়। তবে উৎসব না হলেও পুজো হবে।” কুমোরটুলি সার্বজনীনের এক কর্তার জানাচ্ছেন, “আমরা এখনো কিছুই ঠিক করে উঠতে পারিনি। সরকারের তরফে কি নির্দেশ আসে তার অপেক্ষা করছি।” সব মিলিয়ে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসবে যে এই বছর প্ৰশ্নচিহ্ন পড়ে গেলো সেকথা বলাই চলে।