বুধবার ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে ‘পিঙ্ক বুক’ প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে এ বছর বাজেটে ভারতীয় রেলের যাবতীয় অর্থ বরাদ্দের তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। পিঙ্কবুক আপলোড হওয়ার পর দক্ষিণ-পূর্ব ও কলকাতা মেট্রোর কর্মীরা পিঙ্ক বুক নিয়ে উৎসাহী থাকলেও তা প্রকাশ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই তারা হতাশ হয় কারণ বাংলার জন্য নতুন কোনও প্রকল্পই নেই।পূর্বে আলোচিত তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর, জাঙ্গিপাড়া-ফুরফুরা শরিফ বা নন্দীগ্রাম-দেশপ্রাণ, দিঘা-জলেশ্বর এবং বাঁকুড়া-মুকুটমণিপুর এই সব স্থানে প্রকল্পের জন্য কোনো অর্থ বরাদ্দ করে নি কেন্দ্র। তাই এই প্রকল্প গুলি অর্থের অভাবে এগানো যাবেনা। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে সংস্থার মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ জানিয়েছেন, মোট ৪১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে খড়্গপুর-আদিত্যপুর, নারায়ণগড়-ভদ্রক ও খড়্গপুর-নারায়ণগড়ের মধ্যে তিনটি থার্ড লাইন তৈরি এবং পুরুলিয়া ও কোটশিলার মধ্যে একটি ডাবলিংয়ের কাজ এগনোর জন্য।
তবে রাজ্যের শাসকদল এই দিকটি ব্যক্তিগত হিংসা হিসেবে দেখছেন। তৃণমূল নেতা তাপস রায় বলেন, বাংলার প্রতি বিজেপির চরম রাগ এই বাজেটে আরও একবার স্পষ্ট হল। ওরা চাইছে না বাংলায় কোনও উন্নয়ন হোক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকার সময় যে প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছিলেন তার দেখুন একটা প্রকল্পও বাঁচিয়ে রাখা হয়নি। ওরা ব্যক্তিগত শত্রুতার জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে সবকিছু, ভাবছে না সাধারণ মানুষের কথা। কলকাতা মেট্রোর চারটে প্রকল্পের জন্যই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর জন্য বাজেটে ৯০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ। তবে গত বাজেটের তুলনায় সব ক্ষেত্রেই কম অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে এই বাজেটে।
আরও পড়ুন : আর আমদানি নয়, বিশ্ব বাজার অস্ত্র বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করবে ভারত : প্রধানমন্ত্রী
কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় এই ব্যপারে বলছেন, বরাদ্দ অর্থ কমা দিয়ে কিছু বিচার করা উচিত নয়। প্রকল্প যত সম্পূর্ণ হওয়ার দিকে এগোলে অর্থের প্রয়োজনও কমতে থাকে। তবে বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে রেলবাজেট করেছিলেন সেটা বাংলার রেলবাজেট ছিল, ভারতের রেলমন্ত্রীর বাজেট ছিল না।ফলে তিনি ও দীনেশ ত্রিবেদী রেলমন্ত্রী হয়েও সেই বাজেট রক্ষা করতে পারিনি। বিজেপির এই নতুন বাজেট করছে সারা ভারতের জন্য, উপযুক্ত প্রকল্পে নিশ্চয়ই অর্থ প্রদান করা হবে।