বিনোদ পালঃ মহালয়ার দিন রেডিওয় বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে এই মহালয়ার গান শুনে ঘুম ভাঙে প্রায় প্রতিটা বাঙালীর। আর তার সাথে পুজো পুজো রবে মন ও আনন্দে মেতে ওঠে। প্রায় প্রতিটা বাঙালীর কাউন্টডাউন শেষ হয় এই দিনটিতে। কেন না, এই দিনেই অমাবস্যা তিথিতে পিতৃপক্ষের শেষ হয়, আর পরের দিন প্রতিপদ তিথিতে শুরু হয় দেবীপক্ষের।শাস্ত্রীয় মতে, মহালয়ার অর্থ হচ্ছে মহান আলোয় দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গার আবাহন।
মা আজ পা রেখেছেন মর্ত্যলোকে। বছর ঘুরে মা আজ এলেন তাঁর বাপের বাড়িতে সঙ্গে এনেছেন লক্ষী, গনেশ,কার্তিক,স্বরস্বতী।মহালয়ার দিন ভোরে মন্দিরে মন্দিরে শঙ্খের ধ্বনি ও চন্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীকে আবাহন জানানো হয়। পুরাণমতে, এদিন দেবীর আবির্ভাব ঘটে। অশুভ শক্তির কাছে যখন দেবতার পরাজিত হয়ে স্বর্গচ্যুত হয়েছেন। এবং দিকে দিকে যখন অশুভ শক্তি ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
ঠিক সেই মুহূর্তে একত্র হলেন দেবতারা এবং দেবতাদের তেজরশ্মি থেকে আবির্ভূত হলেন অসুরবিনাশী দেবী দুর্গা। আর এই দেবী দুর্গা বিনাশ করেছেন সেই অশুভ শক্তিকে। অমাবস্যার ঘোর কালিকে দূর করে তেজদীপ্ত আলোয় আলোকিত করেন এবং শুভ শক্তির সূচনা ঘটান। গঙ্গাতীরে ভক্তরা পূর্বপুরুষদের আত্মার মঙ্গল কামনায় তর্পণ করেন। এদিন মা দুর্গার চক্ষুদান করা হয়।