আর কয়েক বছরের মধ্যেই তীব্র তাপে পুড়তে শুরু করবে পৃথিবী, আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন ১৫ বছরের মধ্যে এই তাপমাত্রার পরিবর্তন রেকর্ড ব্রেক করবে
বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব এখনো শেষ হয়নি। বরং বলতে গেলে আগামী ১৫ বছরের মধ্যে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাবে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। এরকমই একটি আশঙ্কার কথা শোনালেন গবেষণা প্রতিবেদন সংস্থা জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশেষ প্যানেল আইপিসিসি। সেখানে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানা গেছে যেখানে এই শতকের শেষে তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাওয়ার কথা ছিল সেটা বাড়বে মাত্র ১৫ বছরের মধ্যেই। এর ফলে কার্যত সমস্যার মধ্যে পড়তে চলেছে আমাদের গোটা পৃথিবী।
আইপিসিসি সোমবার একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে দিয়েছে। এই গবেষণায় তারা দাবি করেছে আগামী ১৫ বছরের মধ্যেই তাপমাত্রাও ১.৫ সেলসিয়াসের কাছাকাছি বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। এই গবেষণার ফলাফল যদি সত্যি হয় তাহলে পৃথিবীর অনেক দেশে রেকর্ড তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। দাবদাহে পুড়ে যাবে বনাঞ্চল। পৃথিবীর বেশ কিছু জায়গায় অতিবৃষ্টি বন্যা এর মত অনেক কিছু আমরা দেখতে পাব আগামী সময়। রাষ্ট্রসঙ্ঘের ইন্টার গভারনমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে দিয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, “রিপোর্টের ফল দেখে এটা নিশ্চিত যে আমরা এরইমধ্যে জলবায়ু সংকট এর ভিতরে পড়ে গিয়েছি। প্রতি ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে অতিবৃষ্টির আর বৃদ্ধি পায় ৭%। শক্তিশালী সাইক্লোন এর হার বৃদ্ধি পায়। যদি এরকম ভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে আগামী দশকে দুই থেকে তিনবার ভয়ানক বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রচুর বনাঞ্চল শুকিয়ে যাবে, বেশ কিছু জায়গায় খরা পরিস্থিতি দেখা যাবে। গরমকালে তীব্র তাপমাত্রা আবার বর্ষাকালে প্রচন্ড বৃষ্টি এই বিষয়টি প্রচন্ডভাবে লক্ষ্য করা যাবে।”
আইপিসিসি ওয়ার্কিং গ্রুপের ভ্যালেরি ম্যাসন ডেলমেট বলছেন, “এই প্রতিবেদনটি আসলে একটি বাস্তবতা। প্রতিবেদন এই বিষয়টির দিকে নির্দেশ করছে, জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে এবং গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমন করে মানুষ পৃথিবীর তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই প্রাক-শিল্প যুগের থেকে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়িয়ে ফেলেছে। এর ফলে, মানব দ্বারা তৈরি কারণে প্রায় প্রত্যেক দিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে তাপমাত্রা এই শতকের শেষের দিকে মনে করা হয়েছিল, তা এর অনেক আগেই হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে রীতিমতো সমস্যার মধ্যে পড়তে চলেছে আমরা।”