ভারত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, দেবপ্রিয়া সরকার : মাছের রাজা ইলিশ খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি খাদ্য। এই মাছে চর্বির পরিমাণও অনেক বেশি। পলিআনসেচুরেটেড ও মনোআনসেচুরেটেড চর্বি। তবে এই চর্বি পুষ্টিকর না ক্ষতিকর এই নিয়ে দোনোমনোতায় ভোগে অনেকেই। এই তথ্য বিচার করে পুষ্টিবিদরা ইলিশ মাছের চর্বি কে ভালো চর্বি হিসেবে বিবেচনা করেছেন। ১০০ গ্রামের ইলিশ মাছ বেশি উপকারী। এতে প্রোটিন ও ক্যালরি যে পরিমাণ থাকে তা খুবই স্বাস্থ্যকর। ইলিশ মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় এটি হার্টের জন্য বেশি উপকারী। এছাড়া এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন এসেনশিয়াল নিউট্রিয়েন্টস । যেমন সেলেনিয়াম, ক্রোমিয়াম,ফসফরাস, ক্যালসিয়াম। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ’, ভিটামিন ডি’, ভিটামিন বি-টুয়েল্ভ’ ও অন্যান্য আরো উপাদান, যেগুলো শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
পুষ্টিবিদদের মতে, ইলিশ মাছে আর্জেনিং নামক একটি উপাদান থাকে যা বিষণ্ণতা থেকে মানুষকে দূরে রাখে। এছাড়া আরও বলেন, শিশুদের ক্ষেত্রে ইলিশ মাছ পাওয়ার বুস্ট হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ এটি শিশুদের মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও শিশুদের মস্তিষ্কের বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও এটি সহায়ক। ইলিশ মাছে থাকা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে খুবই স্বাস্থ্যকর। এটি গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন শিশুর বৃদ্ধি ও হাড়ের গঠনের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া ইলিশ মাছে ভিটামিন ডি’ পাওয়া যায় যা আর্থারাইটিস রোগীদের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর। সবথেকে বেশি যা তা হলো ইলিশ মাছ ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই পুষ্টিবিদরা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ইলিশ মাছ রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।