কমিশনের সামনে উপস্থিত থাকতে হবে ১৭ ই নভেম্বর ৪.৩০ এর মধ্যে। সম্প্রতি এমনটাই নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর এবং নগরোন্ন্যনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। এর সাথেই জানা গিয়েছে যে, ১০ নভেম্বরের মধ্যে এই তলবের জবাব দিতে পারবেন মেয়র।
কমিশন সূত্রে খবর এই নথির কোনো প্রতিক্রিয়াই পাওয়া যায়নি কলকাতা পুরসভার প্রধান প্রশাসকের পক্ষ থেকে। কমিশন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে, কেবল ফোনই নয়, টেস্কট ও করা হয়েছে তাকে। কিন্তু তিনি কোনো উত্তরই দেননি। কমিশন কর্তৃপক্ষ থেকে জানা গিয়েছে যে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি তিনি জবাব না দেন তবে অন্য পদক্ষেপের কথা ভাববে নির্বাচন কমিশন।
কিন্তু হঠাৎ এমন তলব কেন? এমনটাই ঘোরাফেরা করছে সাধারণ মানুষের মনে। গত ৮ তারিখ কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে বসেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেখানেই প্রশ্ন নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশন সূত্র হতে জানা গিয়েছে যে সম্প্রতি সরকারের কাছে কমিশন হতে একটি প্রশ্ন করা হয়। কেন এই পদে বসার পরও খারিজ হল না হাকিমের বিধায়ক পদ? এই প্রশ্নই উঠেছে কমিশনের মনে।
এর উত্তরে সরকার হতে কমিশনকে জানানো হয় যে প্রশাসক হিসেবে কোনো ভাতাই নেন না ফিরহাদ। কেবল বিধায়কের গাড়িটিই ব্যবহার করেন তিনি। তবে এই উত্তরে সন্তুষ্ট হয়নি কমিশন। সেই উত্তরের খোঁজেই এইবার ডাক গিয়েছে হাকিমের কাছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।