হাইকোর্টের কাছে ভৎসর্নার পরে এবারে নড়েচড়ে বসল নির্বাচন কমিশন। শেষ দুই দফার আগে বাংলায় সশরীরে প্রচার করা এবারে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিল নির্বাচন কমিশন। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে রোড শো এবং মিছিলের ওপরে। রাজ্যে করোনাভাইরাস এর পরিস্থিতি দিনে দিনে বেড়েই চলেছে এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে যাতে কিছুটা কমানো যায় সেই নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত নির্বাচন কমিশন। যদিও জনসভার ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় রয়েছে।
হাই কোর্ট এর কাছে কড়া বার্তা শোনার পরে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, শেষ দুই দফা ভোটের আগে কোন রকম রোড শো, কোনরকম মিছিল এবং বাইক মিছিল করা যাবেনা। এছাড়াও যদি জনসভা করতে হয় তাহলে সর্বাধিক জনসংখ্যা হতে হবে ৫০০ জন। যদি কোন রকম জনসভায় এবং মিছিলের অনুমতি দেওয়া থাকে তাহলে সেই অনুমতি তৎক্ষণাৎ বাতিল করে দেওয়া হবে। এই করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলি কোনোভাবেই করোনা বিধি মেনে চলেনি বলেও ক্ষুব্ধ কমিশন।
করোনাভাইরাস এর সময় জমায়েতের বিরোধিতা করে একটি জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার বিচার করার সময় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে তাদেরকে চরম ভৎসর্না করে কলকাতা হাইকোর্ট। তারা জানিয়েছিল, এই পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস আক্রমণ কমানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা অত্যন্ত কঠোর হওয়া উচিত। কিন্তু সেখানে নির্বাচন কমিশন শুধুমাত্র একটি সার্কুলার জারি করে থেমে গিয়েছে। করোনাভাইরাস এর বিধি মেনে প্রচার করা হচ্ছে কিনা সেই নিয়ে কমিশনের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। এই ভৎসর্ণার পরেই বেশ চাপের মুখে পড়েছিল নির্বাচন কমিশন। তারপর এই রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে করোনা বিধি না মেনে প্রচার করার অভিযোগ তুলে নতুন নির্দেশ জারি করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন।