মলয় দে,নদীয়া: নদীয়া জেলার আনুমানিক ৬০০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আড়াই লাখ ছাত্র-ছাত্রী এবং ২৩৮৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৪৮০০০ জন ছাত্রছাত্রী কে আগামী ১৫ ই মার্চ পর্যন্ত নিরাপদ গৃহবন্দী করে রাখার জন্য মিড ডে মিলের বরাদ্দ প্রতিদিনের খাবার হিসেবে দু কেজি চাল ও দুই কেজি আলু তাদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। চাল মিড ডে মিল থেকে প্রাপ্ত হলেও বরাদ্দকৃত আলুর মূল্য ধরে দেয়া হয় প্রতিটি স্কুলকে।
বিপত্তি ঘটে সেখানে, লোকাল খোলা বাজার থেকে এত পরিমাণে আলু একসঙ্গে কেনার জন্য কিছুটা হলেও কালোবাজারি চোখে পড়ে। ১৬ থেকে ১৮ টাকার আলু বেড়ে ২২ থেকে ২৫ টাকা হয়ে যাওয়ায় বচসা গন্ডগোলের খবর পাওয়া যায় একাধিক জায়গা থেকে। শান্তিপুর ব্লকের বেশ কিছু বিদ্যালয়ে ধরা পড়লো চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং বিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতা। শান্তিপুর শরৎকুমারী, রাধারানী নারী শিক্ষা মন্দিরে দেখা গেলো অভিভাবকের বদলে -ছাত্রীরা প্রচণ্ড ভিড়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ঠাসাঠাসি লাইনে দাঁড়িয়ে মিড-ডে-মিল সংগ্রহ করতে।
অন্যদিকে হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয় চালের গুণগত মান নিয়ে কর্তৃপক্ষ অভিভাবক এর মধ্যে গন্ডগোল হওয়ার পর বিকেল তিনটে থেকে মিড ডে মিল প্রথম শুরু হলে শেষ হতো যে লেগে যায় সন্ধ্যে ছটা অথচ পাঁচটা থেকে লকডাউন পর্যায় শুরু হয়। শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ের বহু ছাত্র অভিভাবকদের মিড ডে মিল দেওয়ার তথ্য জানতে না পারার অভিযোগ করেন। তন্তুবায় উচ্চ বিদ্যালয়, সুত্রাগড় গার্লস, দুর্গা মনি হাই স্কুল সহ একাধিক বিদ্যালয় অবশ্য অনুরূপ অভিযোগ ছাড়াই সুষ্ঠভাবে বন্টন সম্ভব হয়েছে। অবশ্য সব ক্ষেত্রেই স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের অজ্ঞতাকে দায়ী করেছেন।