ভারত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, সোমনাথ বিশ্বাস : বর্তমান যুগে সকলেই কর্মব্যস্ত। সারাদিনের কাজের ফাঁকে দাম্পত্য জীবনের জন্য একটু সময় বের করা অনেকের কাছেই সমস্যার। প্রিয় মানুষটাকে সময় দেওয়া হয়ে ওঠে না সেভাবে, বা তার সাথে ভালো করে দুটো কথা বলারও সময় হয়ে ওঠে না অনেকসময়। আর এর ফলে দিন দিন নিজেদের মধ্যে বাড়ছে দূরত্ব, যা পরবর্তীতে রূপ নিচ্ছে বিচ্ছেদে। কিন্তু যদি ছোটখাটো কয়েকটা বিষয়ে খেয়াল রাখতে পারেন, তাহলে শত ব্যস্ততার মধ্যেও অনেক সমস্যা এড়ানো সম্ভব। এতে আপনার সম্পর্কেও স্বাভাবিক ছন্দ বজায় থাকবে। দেখে নিন বিষয় গুলো-
১. অফিসের কাজ অফিসেই সারুনঃ অফিসের কাজ যত গুরুত্বপূর্ণই হোক না কেনো অফিসের কাজ অফিসেই সারুন। সারাদিন অফিসের ব্যস্ততার পর যখন বাড়ি ফিরছেন, তখন শুধু পারিবারিক ব্যাপারেই কথা বলুন। এতে পারিবারিক নানা সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি সম্পর্কও স্বাভাবিক থাকবে।
২. বাড়ি ফিরেই সোশ্যাল মিডিয়া নয়ঃ বর্তমানে আমরা এই জিনিসটার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছি। আর এর থেকেই অনেক কিছুর সঙ্গে ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সম্পর্কও। তাই বাড়ি ফিরেই হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকুন। পরিবারকে কিছুটা সময় দিন, তাদের সাথে সময় কাটান।
৩. একবেলা একসাথে খানঃ প্রতিদিন অন্তত এক বেলা স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে খাওয়ার চেষ্টা করুন। নিজের সারা দিনের জার্নিও শেয়ার করুন। এতে সম্পর্ক মজবুত হবে।
৪. মাঝেমধ্যেই উপহার দিনঃ যদি এমন হয়, পরপর বেশ কিছু দিন হয়ত আপনাদের মধ্যে ঠিকমতো কথা হয়নি, কোনো বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হয়েছে দুজনের মধ্যে, তাহলে দুজন মিলে কোথাও ঘুরতে যান। মাঝে মধ্যেই আপনার স্ত্রীকে উপহার দিন, সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকবে।
৫. সংসারের কাজ ভাগাভাগিঃ সংসারের ছোট ছোট কাজ একসঙ্গে সারার চেষ্টা করুন। এতে যেমন একসঙ্গে সময় কাটানো হবে, তেমনই সংসারের প্রতি দু’জনেরই দায়বদ্ধতা তৈরি হবে। দু’জনের সংসারে কাজের ভাগীদারও দুজনেই হোন সমান ভাবে।
৬. ভালোলাগার দিকে খেয়াল রাখুনঃ একে অপরের ভালোলাগার দিকে খেয়াল রাখুন। যেহেতু ব্যস্ততার মধ্যে আলাদা করে জীবনসঙ্গীকে সময় দেওয়া হয়ে ওঠে না, সেক্ষেত্রে তার প্রতি একটু বিশেষ খেয়াল রাখুন। ছোটখাট এই অভ্যাসগুলো কিন্তু সম্পর্কের স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।