বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে উত্তপ্ত পরিবেশ, চলছে বিক্ষোভ, অভিযোগ পর্যাপ্ত মাস্ক নেই, নেই স্যানিটাইজার, পাওয়া যাচ্ছে না খাবার, জল। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিক্ষোভ শুরু করলেন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের নার্স ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা। তাদের দাবি না মানলে কর্মবিরতির পথে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তারা। তাদের দাবি দিনরাত এক করে প্রানের ঝুঁকি নিয়ে আক্রান্ত রোগীদের দেখছেন তারা কিন্তু তাদের জন্য নেই বিশেষ রকমের পোশাক ও অন্যান্য নিরাপদ সরঞ্জাম। হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ও সুপারের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ জানাচ্ছেন তারা। সুপার এবং প্রিন্সিপাল দরজা বন্ধ করে ঘরের ভিতরে আটকে রয়েছেন, সমস্যা যতক্ষন না মিটবে তারা বিক্ষোভ চালিয়ে যাবে এবং কর্মবিরতির পথেও যেতে পারেন বলে জানিয়েছেন তারা।
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন তাঁদের জন্য হাসপাতালে কোনও আলাদা ব্যবস্থা নেই৷ রাজ্যে লকডাউনের জেরে রাতে বাড়ি ফিরতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের অনেককেই, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা, এলাকায় তাঁদের একঘরে করা হচ্ছে, দীর্ঘ সময় রোগীদের সাথে থাকতে হচ্ছে কিন্তু নেই মাস্ক, স্যানিটাইজার, ফলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে তাদের। এই সমস্ত কারনে মঙ্গলবার সকাল থেকেই তারা বন্ধ করে দিয়েছে কাজ এবং বিক্ষোভ করছেন। কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় সমস্যায় রোগীরা।
অপরদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার শহরের প্রায় সব ক’টি মেডিক্যাল কলেজ, রাজারহাটের নতুন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ও বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল ঘুরে দেখছেন, চিকিৎসক-সহ স্বাস্থ্য প্রশাসনের আধিকারিক দের সাথে কথা বলে হাসপাতালের পরিকাঠামোগত ত্রুটি নিয়ে আলোচনার কথা বলেছেন তিনি। হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য হোটেলে থাকা এবং গাড়ির ব্যবস্থা করতে বলেছেন যাতে লকডাউন পরিস্থিতিতে তাদের কোনো অসুবিধা না হয়। রোগীদের সংস্পর্শে থাকা নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য মাস্ক, হ্যান্ড-স্যানিটাইজার যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে সেকথাও বলেছেন তিনি। করোনা আতঙ্কের মধ্যে নার্স ও কর্মীদের বিক্ষোভের খবর পৌঁছেছে নবান্ন ও স্বাস্থ্যভবনে।