রাজ্য জুড়ে আগেই শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শনিবার কনকনে ঠান্ডা কাপিয়ে দিয়েছে শহরবাসীকে। যা বজায় থাকবে রবিবারেও। তবে ছুটির দিনে এই শীত জমিয়ে উপভোগ করতে পারবে শহরবাসী। শনিবার কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ১১.১ ডিগ্রি যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম। এই শীতের মরশুমে সব থেকে শীতলতম দিন ছিল কাল। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও শীত তীব্রতর জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। উত্তর-পশ্চিম ভারতেও শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। রবিবার তাপমাত্রা বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, শীতের আমেজ রবিবারও থাকবে রাজ্যজুড়ে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
তবে ডিসেম্বর মাসে যে এমন শীত আগেও পড়েছে তার দৃষ্টান্ত রয়েছে। ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ১০.৬ ডিগ্রি। ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর তাপমাত্রা নেমে হয়েছিল ১০ ডিগ্রি। তবে ডিসেম্বরের সবচেয়ে বেশি শীতের রেকর্ড ১৯৬৬ সালে বাইশে ডিসেম্বর। সেদিন কলকাতা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।
আরও পড়ুন : মরুভূমির শহরে তুষারপাত, মাইনাস ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা রাজস্থানে
ব্যারাকপুরে কাল রাতের তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি। পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ জেলার তাপমাত্রা ছিল ৭-৮ ডিগ্রির কাছাকাছি। শিলিগুড়িতে তাপমাত্রা সবথেকে কম ছিল ৫ ডিগ্রি।তরাই ডুয়ার্সে তাপমাত্রা ছিল ৮-৯ ডিগ্রি। যদিও এই শীত আর খুব বেশিদিন থাকবে না। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়লে গোটা দেশে তাপমাত্রা বাড়বে। বর্তমানে দিল্লির তাপমাত্রা ২.৪ ডিগ্রি যা বছর শুরুতে ৭-৮ ডিগ্রি হবে বলে অনুমান। বছর শুরুতে কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছাবে ১৪ ডিগ্রিতে। বঙ্গোপসাগরের বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত এবং স্থলভাগে নিম্নচাপ অক্ষরেখার কারণে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বৃষ্টি নামবে রাজ্যে।