গত সোমবার ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের দপ্তরে সর্বদল বৈঠক হয়েছে। এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল যাতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি করে নির্বাচন কমিশন। এই বৈঠকে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সবাই একযোগে নির্বাচন কমিশনারকে আবেদন করেছে যাতে নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি হয়।
এই নির্বাচন কমিশনারের বৈঠকে তৃণমূল সরকারের পক্ষ থেকে হাজির ছিলেন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিজেপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার ও সিপিএম এর পক্ষ থেকে ছিলেন রবীন্ দেব। এই বৈঠক সোমবার কমিশনারের দপ্তরে প্রায় ১ ঘন্টা ধরে চলে। জানা গিয়েছে আগামী ১১ ই নভেম্বর রাজ্যের সমস্ত জেলার জেলাশাসক দের নিয়ে ভার্চুয়ালি বৈঠক করবেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। সেই বৈঠকের ভিত্তিতেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। আজকের বৈঠকের পর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সংশোধিত ভোটার তালিকা চূড়ান্ত ভাবে প্রকাশ করা হবে ২০২১ সালের ১৫ ই জানুয়ারি।
নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ১৮ ই নভেম্বর রাজ্যের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। তার আগেই রাজনৈতিক দলগুলির সাথে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশনার তাদের দাবি-দাওয়া জানতে চেয়েছিল। এইদিনের বৈঠকে তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনারের কাছে নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রকাশের আবেদন জানিয়েছেন। সেইসাথে প্রত্যেক ভোটার যাতে ভোটাধিকার পান সেটি নিশ্চিত করা অনুরোধ জানিয়েছেন। এছাড়াও গঙ্গার জলে ভেসে যাওয়া ঘরছাড়াদের তালিকায় নাম তোলার জন্য মানবিক দিক থেকে দেখার অনুরোধ করেছেন। এছাড়াও যে অঞ্চলে করোনার প্রকোপ বেশি বা পরিযায়ী শ্রমিক অন্যান্য জায়গা থেকে ফিরে এসেছে সেখানে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে সিপিএম তরফের রবীন দেব স্টায়ী সরকারি কর্মীদের বুথ লেভেল অফিসার করার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন স্টায়ী সরকারি কর্মী ছাড়া অন্যদের মধ্যে দায়বদ্ধতার অভাব দেখা যায়। অবশ্য এদিনের সর্বদলীয় বৈঠক সুর তুলেছে বিজেপি। বিজেপির পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত থাকা জয়প্রকাশ মজুমদার এর অভিযোগ ভোটার তালিকা সংশোধন বা যাবতীয় কাজ এর দায়িত্ব রাজ্য প্রশাসনের ওপর। আর রাজ্য সরকারি কর্মীদের শাসক দল যেভাবে গ্রাস করেছে তাদের পক্ষে নিরপেক্ষ হয়ে নির্বাচনের কাজ করা আদেও সম্ভব নাকি সে নিয়ে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।