২০১৯ সালের আগস্ট মাসে প্রকাশিত হওয়া জাতীয় নাগরিক পঞ্জিতে নাম না থাকায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আসামের এক মহিলা। রাজ্যের ১৯ লক্ষ মানুষের সঙ্গে জাবেদা বেগম নামে ওই মহিলার ভারতের নাগরিকত্ব খারিজ হয়ে গেলেও তাকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়নি। কারণ, তিনি নিজের নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ ছিল, নাগরিকদের সকল আইনি সুবিধা দিতে হবে। কোন ব্যক্তি চাইলে নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য প্রথমে ট্রাইব্যুনাল, পরে হাইকোর্ট, তারপর সুপ্রিমকোর্ট পর্যন্ত যেতে পারেন। সমস্ত আইনি সুবিধা পাওয়ার পরও তিনি যদি নিজেকে ভারতের নাগরিক হিসেবে প্রমাণ করতে না পারেন, তবেই তাকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowআরও পড়ুন : গতবছরের ন্যায় এবারও মাধ্যমিকের প্রথম দিনেই প্রশ্নপত্র ফাঁস
সেই মতো আসামের ট্রাইব্যুনাল তাকে বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করলে গুয়াহাটি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জাবেদা বেগম। কিন্তু আদালতের রায়ে বিপাকে পড়লেন ওই মুসলিম মহিলা। আদালত এই মামলার রায় দিতে গিয়ে জানায়, জমির দলিল, ব্যাংকের কাগজপত্র, প্যান কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে গণ্য হতে পারে না। এর ফলে ঘোর বিপাকে পড়েছেন ওই মহিলা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আসামের এনআরসি কর্তৃপক্ষ জমির দলিল ও ব্যাংকের কাগজপত্রকে এতদিন পর্যন্ত নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে মান্যতা দিয়ে এসেছে।