একদিকে দিল্লি সংঘর্ষ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তরজা চরমতর পর্যায়ে। এরইমধ্যে রাজনৈতিক ধারাপাতে নতুন সংযোজন অমিত শাহের কলকাতায় সভা। যদিও তার আগে তিনি উড়িষ্যাতে একটি সভা করেছেন আর তারপরে তার বাংলা সফর। পয়লা মার্চ কলকাতায় সভা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারই সভাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চর্চা ছিল তুঙ্গে। এদিনের সভা থেকে তিনি কি বক্তৃতা দেন সেদিকেও নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। অমিত শাহ এদিন শহীদ মিনারে সভা থেকে সি এ এ নিয়ে ভাষণ এর পাশাপাশি রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করেন। এদিনের সভা থেকে তিনি রাজ্য বিজেপির জন্য নব্য হাতিয়ার রূপে তুলে দেন নতুন স্লোগান – ‘ আর নয় অন্যায়’।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতবার্তা প্রতিনিধি প্রীতম দাস যোগাযোগ করেছিল মাননীয় নেতা রেজ্জাক মোল্লা সঙ্গে। তিনি তার ব্যক্তিগত মতামত আমাদের ভারতবার্তাকে জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শহীদ মিনারের মঞ্চ থেকে স্লোগান তুলেছেন ‘আর নয় অন্যায়’ আবার অন্যদিকে তারই সব আগামী একটি রালিতে বিতর্কিত ‘গোলি মারো’ শ্লোগান শোনা গেল। এইযে পরস্পর বিপরীতমুখী দুটি শ্লোগান একই দিনে শোনা গেল এটা কোন ভাবে বিভ্রান্তিমূলক বলে মনে করেন কি ?
রেজ্জাক মোল্লা : ওদের দলের নেতা ও কর্মীদের ভেতরে কি সমন্বয় আছে আমি জানিনা। নেতা তো নেতার মতন বলে , ভেবেচিন্তে বলে আর কর্মীদের বলে দেয় তোরা যা পারিস বল ! এই চলছে নীতি ওদের। তা নাহলে পশ্চিমবঙ্গে দাড়িয়ে ‘গোলি মারো ‘ এটা বলতে পারে ?
এদিনের সভা মঞ্চ থেকে তিনি বলেছেন সি এ এ কারো নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়, ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল কি বলবেন আপনি এই মন্তব্য নিয়ে ?
রেজ্জাক মোল্লা : যদি আইন পাস পাস হয়ে থাকে কোন জায়গায় , কেড়ে নেবার ব্যাপার নেই ভয় দেখাচ্ছে ওরা তো সেটা নিজেরা পরিষ্কার করে বললেই তো পারে। এটার জন্য আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কি দরকার ?
অমিত শাহ এদিনের সভা থেকে আরো একটি মন্তব্য করেছেন বাংলায় যারা সিন্ডিকেট চালায় তাদেরকে বেঁচে বেঁচে জেলে পাঠানো হবে। কী বলতে চাইবেন এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ?
রেজ্জাক মোল্লা : সিন্ডিকেট যারা চালায় তারা কাদের লোক আমি জানিনা। সিন্ডিকেট কেউ চালালে তার জন্য আইন আছে , আইনত ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
অমিত শাহ সভা থেকে বাংলা জনগণের উদ্দেশ্যে একটি তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে বলেছেন- আমাদেরকে পাঁচ বছর সময় দিন আমরা সোনার বাংলা গড়ে দেব। কি বলতে চাইবেন এই মন্তব্যটি কে নিয়ে ?
রেজ্জাক মোল্লা : সোনার বাংলা তো পরে হবে। পাঁচ বছরে দেশের জিডিপি থেকে আর্থিক অবস্থা যে জায়গায় পৌঁছাচ্ছে , বেকারত্ব ও এছাড়া যা যা দরকার রুটি কাপড়া মাকান এইসব ব্যাপারে যা হচ্ছে তাতে পশ্চিমবাংলায় হঠাৎ করে সোনার বাংলা হবে কি করে ? পশ্চিমবাংলা টা তো ভারতবর্ষের বাইরে নয় ? এইসব কথাবার্তা বললে তো কিছু বলার নেই , বড় বড় নেতা এরা।
[ সাক্ষাৎকার গ্রহণ : প্রীতম দাস]