মমতা ব্যানার্জি হচ্ছে নরেন্দ্র মোদির বিকল্প আর কোন মুখ নেই ভারতবর্ষে : সমীর চক্রবর্তী
বিজেপির সাথে লড়াই টা হয়েছে বাম কংগ্রেসের , কে দ্বিতীয় হবে আর কে তৃতীয় হবে : সমীর চক্রবর্তী
উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয় জয়কার। এবারের উপনির্বাচনে সকলের কাছে পাখির চোখ ছিল ভবানীপুর কেন্দ্র। কারণ , এই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ৩ অক্টোবর রেজাল্ট প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা গেল এই ভবানীপুর কেন্দ্রে তিনি জিতলেন রেকর্ড সংখ্যক ভোটে। এর পাশাপাশি আরো দুটি কেন্দ্র সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরের উপনির্বাচনে এদিন বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন ও আমিরুল ইসলাম। অন্যদিকে , বিজেপি ও বাম কংগ্রেস দুজনের কেউই এই ভোটে কোনো কেন্দ্রে খাতা খুলতে পারেনি।
উপনির্বাচনে তৃণমূলের ব্যাপক জয়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য আমাদের প্রতিনিধি প্রীতম দাস যোগাযোগ করেছিলেন মাননীয় তৃণমূল নেতা শ্রী সমীর চক্রবর্তীর সঙ্গে। তিনি তার ব্যক্তিগত মতামত ও প্রতিক্রিয়া আমাদের ভারত বার্তার প্রতিনিধিকে জানান।
১) ভবানীপুরের রেকর্ডসংখ্যক ভোটে জিতলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে বিজেপি’র ভবানীপুরের একটা ওয়ার্ড এর জিততে পারল না তাহলে বিজেপি কী বাম কংগ্রেসের মতো শূন্য হওয়ার পথে একপ্রকার যাত্রা শুরু করলো ?
সমীর চক্রবর্তী : বিজেপি তো শুন্যর পথেই চলেছে। তার কারণ গত বিধানসভা নির্বাচনে আপনারা যদি দেখেন তাহলে আপনারা দেখবেন তার আগের বিধানসভা নির্বাচনে অর্থাৎ ২০১৬ সালে বাম ও কংগ্রেস ৭৭ টি আসনে জিতেছিল। এরমধ্যে কংগ্রেস জিতেছিল 44 টি ও সিপিএম জিতেছিল 33 টি। তো এইবার বিধানসভা নির্বাচনে বাম ও কংগ্রেস শূন্য আসন পেয়েছে অন্যদিকে বিজেপি ৭৭ টি আসন পেয়েছে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সবচেয়ে যেটা বড় বক্তব্য তা হলো বিজেপি পশ্চিমবাংলায় কোথায় বৃদ্ধি পেলো সেই প্রশ্নের উত্তরটা আমায় দিন। ওদের লড়াইটা ছিল দ্বিতীয় কে হবে আর তৃতীয় কে হবে তার মধ্যে। লড়াইটা তো তৃণমূলের সাথে ছিলনা মানে হয়নি , মানুষ দেয়নি। সুতরাং বিজেপির সাথে লড়াই টা হয়েছে সিপিএম আর কংগ্রেসের , কে দ্বিতীয় হবে আর কে তৃতীয় হবে , তো লড়াইটা সেই জায়গাতেই আছে।
২) 2024 সালে বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে দল আরো কতটা বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠলো আজকের এই জয়ের পর ?
সমীর চক্রবর্তী : এখন একটা কথা বলি এখানে পুরো ভারতবর্ষটাই এক। সেখানে আমরা বাঙালি অবাঙালি করে বলবো না তবে হ্যাঁ , বাংলা থেকে প্রধানমন্ত্রী আমরা চাইছি। তার কারণ হচ্ছে গুজরাট থেকে যদি বলা হয় গুজরাটি মানুষকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। তাহলে বাংলার মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন প্রধানমন্ত্রী হবেন না এবং আজকের জয় সারা ভারতবর্ষে তাকে এগিয়ে দিল। দেখুন এটা গত এপ্রিল মাস থেকেই হয়েছে। ভারতবর্ষের মানুষ তথা গোটা ভারতবর্ষের বিজেপি বিরোধী মানুষ যারা তারা মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হচ্ছে নরেন্দ্র মোদির বিকল্প আর কোন মুখ নেই ভারতবর্ষে। সুতরাং আজকের জয় টা সেটাকে আরো ত্বরান্বিত করবে।
[সাক্ষাৎকার গ্রহন : প্রীতম দাস ]