২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামার ঘটনার তদন্ত ভার নিয়েছিল NIA, সেই ঘটনারই মূল চক্রীর সন্ধান পেলেন তারা। কয়দিন আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে পুলওয়ামা হামলার মূল অভিযুক্ত শাকির বসির মাজরে। জানা গিয়েছে, ২২ বছরের ওই যুবক বহুদিন ধরেই পাকিস্তানের মদদপুষ্ট ছিল এবং জঙ্গি সংগঠন জইশদের সাহায্য করত বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ এই দুই বাবা-মেয়েও সাহায্য করেছিল পুলওয়ামা হামলায় জড়িত আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল আহমেদ দার এবং তার সঙ্গী শাকির বসির মাজরেকে।
এনআইএ জানিয়েছে গ্রেফতার হওয়া বছর পঞ্চাশের তারিক আহমেদ শাহ এবং তার মেয়ে ইনসা জান (২৩)জইশের সদস্যদের সাহায্য করত। পুলওয়ামা হামলা ঘটার আগে এলাকায় রেইকি করতে আসে জইশের সদস্য শাকির বসির মাজরে এবং জইশের আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল আহমেদ দার। তখন বছর পঞ্চাশের তারিক আহমেদের বাড়িতেই আস্তানা বানিয়েছিল তারা সুরক্ষিত থাকবার জন্য। এছাড়া আদিলের যে শেষ ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে তাতে মনে হয়েছে তারিক আহমেদের বাড়িতেই তোলা বলে জানিয়েছে NIA। জইশের তরফেই এই ভিডিও প্রকাশ্যে আনা হয়।
আরও পড়ুন : বিদেশমন্ত্রকের কড়া বার্তা, CAA নিয়ে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ চায় না ভারত
গত শুক্রবার ধরা পড়ার পর জেরায় শাকির বসির জানিয়েছে, গত বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলায় বিস্ফোরকের মধ্যে ছিল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, নাইট্রো-গ্লিসারিন এবং আরডিএক্স মত ক্ষতিকারক পদার্থ। যা আদিল আহমেদ দার এবং মহম্মদ উমর ফারুখের সাহায্যে নির্দিষ্ট গাড়িতে বিস্ফোরক বোঝাই করেছিল শাকির বসিরও। জেরায় জানা গিয়েছে, বিস্ফোরক তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম অনলাইনে অর্ডার দিয়ে আনানো হয়।
NIA -এর তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, হামলার দিন আদিলের সঙ্গে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়িতে শাকিরও উপস্থিত ছিল। ঘটনাস্থল থেকে ৫০০ মিটার দূরে সে গাড়ি থেকে নেমে যায়। তারপর বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে একাই এগিয়ে যায় জইশের আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল এবং তিনি গাড়ি সমেত সটান ধাক্কা মারেন CRPF-এর একটি কনভয়ে। এরপর ঘটে যায় সেই বিষ্ফোরণ। ভয়ঙ্কর শব্দে কেঁপে ওঠা গোটা চত্বর এবং মারা যায় ভারতীয় জওয়ানরা।